ঢাকা অফিস : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ ও উন্নত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় দুঃখী ও অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য পূরণে নিরলসভাবে কাজ করতে আমি বেশি আনন্দ ও শান্তি পাই।
তিনি আরো বলেন, টেকসই সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে ১৬ কোটি মানুষের উন্নয়নে কাজ করাই আমার আনন্দ ও প্রশান্তি।
বুধবার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমীন এমিলির প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিকভাবে যারা জোট করেছে তাদেরকে আমি স্বাগত জানাই। কারণ, আমি মনে করি, সকলেরই রাজনীতি করার অধিকার আছে। আজকে যারা রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন দল, জোট করে নির্বাচনে আসবেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন, এতে গণতন্ত্রের ভিত্তিটা আরো মজবুত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি আরো বলেন, এখানে (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) যারা যুক্ত হয়েছেন, তাদের যে কথাবার্তা, যা কিছু এখন মানুষ জানতে পারছে বা শুনতে পারছে, তাদের কেউ কেউ মানুষকে সম্মান রেখেই কথা বলতে পারছে না। বিশেষ করে, একটা নারীবিদ্বেষী মনোভাব, মেয়েদের প্রতি অশালীন কথা বলা থেকে শুরু করে জোটের নেতাদের মুখে অনেক কিছুই শুনতে পাচ্ছি। তবে আমি আশা করি, তারা সংযত হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের জন্য কাজ করতে হলে যে সহনশীল হতে হয়, যে ত্যাগ দরকার সেই ত্যাগ বা সহনশীলতা তাদের মধ্যে নেই। আমি আশা করি, তারা যদি সত্যিই রাজনীতির জন্য জোট করে এগিয়ে যেতে চান, তাহলে অবশ্যই তাদের সেভাবে চলতে হবে। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, যেকোনোভাবেই হোক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মোকাবিলা করতে আমি পিছপা হই না, রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করি- এটাই বাস্তবতা। তবে কেউ যদি জঙ্গী-সন্ত্রাস বা মাদক অথবা কেউ অশালীন উক্তি করে, মানুষ যদি বিচার চায়, সেই বিচার করাটাও রাষ্ট্রের কর্তব্য।
তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমরা রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা রূপকল্প-২০৪১ প্রণয়ন করে জাতির সামনে উপস্থাপন করব। এ পরিকল্পনার লক্ষ্য হচ্ছে- ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়া। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাজেটের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে সাত গুণেরও বেশি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে সাড়ে ৯ গুণ। গত কয়েক বছরে অর্জিত অর্থনৈতিক সাফল্যের সুফল দেশের জনগণ পেয়েছে, যার ফলে দরিদ্র জনগণের সংখ্যা দ্রুত কমছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ছবিযুক্ত আইডি কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। তারা যেন নির্ধারিত ক্যাম্পের মধ্যেই থাকে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে যাতে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে না পারে সেজন্য সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
No comments:
Post a Comment