এস এম এম রহমান : ঢাক-ঢোল আর ঝাঝরের বাজনায় ছলাত ছলাত ঢেউয়ের তালে রূপসা নদীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম বাংলার অপরুপ নান্দনিক শৈল্পিক সৌন্দর্যে ১৩তম নৌকা বাইচ। ২০ অক্টোবর বেলা ৩টায় খুলনা জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের প্রতিযোগিতায় নৌকার মাপের ওপর ভিত্তি করে সারা দেশ থেকে আগত ২৪টি দলের বাইচ নৌকাগুলো তিন দলে ভাগ করা হয়। সন্ধ্যায় রূপসা ফেরি ঘাট চত্ত্বরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১২টা থেকে নৌকা বাইচ দেখার জন্য নদীর দু’পাড়ে লাখো দর্শকের ভিড় জমে। তবে বাইচ শুরু হওয়ার সাথে সাথে আয়োজক কর্তৃপক্ষের অনুমতি বিহীন শত শত ট্রলারের ভিড়ে বাইচের পরিবেশ মারত্মকভাবে বিঘিœত হয়। অতিরিক্ত ঢেউয়ের কারণে ঘটে বাইচে অংশ নেওয়া নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনা। বিগত বছরগুলির মত এবারের প্রতিযোগীতায়ও দুইটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
তবে নদীতে থাকা শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষার কাজে নিয়োজিত পুলিশ বাইচ শুরুর আগে নদীর নির্ধারিত সীমানা নিয়ন্ত্রনে রাখলেও বাইচ শুরুর পর পর তা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়।
এবারের প্রতিযোগিতায় কয়রা, পাইকগাছা, তেরখাদা, কালিয়া, নড়াইল থেকে ৯ টি বড় এবং ৭ টি ছোট বাইচ দল অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও গোপালগঞ্জ, মাদারিপুর ফরিদপুর এলাকার ৮টি বাচারি নৌকা নিয়ে একটি বিশেষ দল তৈরি করা হয়।
বড় দলের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে এক লাখ টাকা জিতে নেয় কয়রার সুন্দরবন টাইগার। দ্বিতীয় হয়ে পুরষ্কার হিসেবে ৬০ হাজার টাকা পান তেরখাদার ভাই ভাই জলপরী। আর তৃতীয় পুরস্কার ৩০ হাজার টাকা পান একই এলাকার আল্লাহ ভরসা।
ছোট গ্রুপে প্রথম হয়ে ৫০ হাজার টাকা পুরষ্কার পান পাইকগাছার ভাই ভাই দুরন্ত। দ্বিতীয় বিজয়ী দল কয়রার সোনার তরী পায় ৩০ হাজার টাকা। আর তৃতীয় স্থান অধিকারী দল পাইকগাছার দুরন্ত পায় ২০ হাজার টাকা।
বিশেষ বাচারি দলের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে ৫০ হাজার টাকা জিতে নেয় সোনাডাঙ্গার ফলিয়া এন্টারপ্রাইজ। দ্বিতীয় হিসেবে ৩০ হাজার টাকা পায় গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার সোনার তরী। তৃতীয় পুরস্কার ২০ হাজার টাকা পায় একই এলাকার মা-বাবার আশীর্বাদ।
সকালে এই আয়োজন ঘিরে নগরীতে অনুষ্ঠিত হয় এক বর্ণাঢ্য র্যালি। খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক র্যালিটি উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে দুপুর ২ টায় ১ নং কাস্টম ঘাটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাইচ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় শেষ হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশন-এর মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, পুলিশ কমিশনার সর্দার রাফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ। গ্রামীণফোনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সার্কেল বিজনেস হেড মো. আওলাদ হোসেন, হেড অব ব্র্যান্ড এন্ড ডিজিটাল মার্কেটিং নাফিস আনোয়ার চৌধুরী, খুলনা সার্কেল মার্কেটিং হেড আবুল হাসনাত, খুলনা রিজিওনাল হেড আহসান হাবিব। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি মোল্লা মারুফ রশীদ, সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান রহিম, প্রধান উপদেষ্টা শেখ আশরাফ-উজ-জামান।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড এর উপ-পরিচালক বিল্লাল হোসেন খান, খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর ভেটেরিনারি সার্জন ডা. রেজাউল করিম, নিজাম উর রহমান লালু, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মো. মোতালেব হোসেন মিয়া।
গোটা আয়োজনটি খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা জেলা প্রশাসন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বন বিভাগ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, বিআইডব্লিউটিএ, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি, রূপসা সেতু কর্তৃপক্ষ ও ট্রলার মালিক সমিতির তত্ত্বাবধানে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা হয়।
এবারের প্রতিযোগিতায় নৌকার মাপের ওপর ভিত্তি করে সারা দেশ থেকে আগত ২৪টি দলের বাইচ নৌকাগুলো তিন দলে ভাগ করা হয়। সন্ধ্যায় রূপসা ফেরি ঘাট চত্ত্বরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১২টা থেকে নৌকা বাইচ দেখার জন্য নদীর দু’পাড়ে লাখো দর্শকের ভিড় জমে। তবে বাইচ শুরু হওয়ার সাথে সাথে আয়োজক কর্তৃপক্ষের অনুমতি বিহীন শত শত ট্রলারের ভিড়ে বাইচের পরিবেশ মারত্মকভাবে বিঘিœত হয়। অতিরিক্ত ঢেউয়ের কারণে ঘটে বাইচে অংশ নেওয়া নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনা। বিগত বছরগুলির মত এবারের প্রতিযোগীতায়ও দুইটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
তবে নদীতে থাকা শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষার কাজে নিয়োজিত পুলিশ বাইচ শুরুর আগে নদীর নির্ধারিত সীমানা নিয়ন্ত্রনে রাখলেও বাইচ শুরুর পর পর তা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়।
এবারের প্রতিযোগিতায় কয়রা, পাইকগাছা, তেরখাদা, কালিয়া, নড়াইল থেকে ৯ টি বড় এবং ৭ টি ছোট বাইচ দল অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও গোপালগঞ্জ, মাদারিপুর ফরিদপুর এলাকার ৮টি বাচারি নৌকা নিয়ে একটি বিশেষ দল তৈরি করা হয়।
বড় দলের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে এক লাখ টাকা জিতে নেয় কয়রার সুন্দরবন টাইগার। দ্বিতীয় হয়ে পুরষ্কার হিসেবে ৬০ হাজার টাকা পান তেরখাদার ভাই ভাই জলপরী। আর তৃতীয় পুরস্কার ৩০ হাজার টাকা পান একই এলাকার আল্লাহ ভরসা।
ছোট গ্রুপে প্রথম হয়ে ৫০ হাজার টাকা পুরষ্কার পান পাইকগাছার ভাই ভাই দুরন্ত। দ্বিতীয় বিজয়ী দল কয়রার সোনার তরী পায় ৩০ হাজার টাকা। আর তৃতীয় স্থান অধিকারী দল পাইকগাছার দুরন্ত পায় ২০ হাজার টাকা।
বিশেষ বাচারি দলের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে ৫০ হাজার টাকা জিতে নেয় সোনাডাঙ্গার ফলিয়া এন্টারপ্রাইজ। দ্বিতীয় হিসেবে ৩০ হাজার টাকা পায় গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার সোনার তরী। তৃতীয় পুরস্কার ২০ হাজার টাকা পায় একই এলাকার মা-বাবার আশীর্বাদ।
সকালে এই আয়োজন ঘিরে নগরীতে অনুষ্ঠিত হয় এক বর্ণাঢ্য র্যালি। খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক র্যালিটি উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে দুপুর ২ টায় ১ নং কাস্টম ঘাটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাইচ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টায় শেষ হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশন-এর মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, পুলিশ কমিশনার সর্দার রাফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ। গ্রামীণফোনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সার্কেল বিজনেস হেড মো. আওলাদ হোসেন, হেড অব ব্র্যান্ড এন্ড ডিজিটাল মার্কেটিং নাফিস আনোয়ার চৌধুরী, খুলনা সার্কেল মার্কেটিং হেড আবুল হাসনাত, খুলনা রিজিওনাল হেড আহসান হাবিব। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি মোল্লা মারুফ রশীদ, সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান রহিম, প্রধান উপদেষ্টা শেখ আশরাফ-উজ-জামান।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড এর উপ-পরিচালক বিল্লাল হোসেন খান, খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর ভেটেরিনারি সার্জন ডা. রেজাউল করিম, নিজাম উর রহমান লালু, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মো. মোতালেব হোসেন মিয়া।
গোটা আয়োজনটি খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা জেলা প্রশাসন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বন বিভাগ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, বিআইডব্লিউটিএ, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি, রূপসা সেতু কর্তৃপক্ষ ও ট্রলার মালিক সমিতির তত্ত্বাবধানে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা হয়।
No comments:
Post a Comment