Channel Atv

সময়ের সাথে এগিয়ে চলে সাহসের সাথে কথা বলে

আসুন নিজেকে বদলায়। প্রতিদিন একটি ভালো কাজ করি। সুন্দর জীবন ও সমাজ গড়ি। নতুন সকাল

Breaking

Monday, January 21, 2019

খুলনায় জোড়া হত্যার রেশ কাটতে না কাটতে মসজিদের খাদেম খুন : আটক ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘটিত জোড়া হত্যার রেশ কাটতে না কাটতে এবার সদর থানা এলাকার মিস্ত্রিপাড়া বাজার মসজিদের খাদেম মাসুদ গাজী (৪০) খুন হয়েছে। পুলিশ এঘটনায় ৭ জনকে আটক করেছে। শনিবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় বখাটেরা দু’ দফায় মাসুদ গাজী ওপর হামলা করলে তিনি গুরুতর জখম হন। রাত দেড়টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রোববার নিহত মাসুদ গাজীর ভাই ইয়াসিন গাজী বাদী হয়ে মামলা করার পর পুলিশ এজাহারভুক্ত আটজন আসামীর মধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, সোনাডাঙ্গা এলাকার সগির হোসেনের ছেলে মো. সাগর হোসেন (২১), লবণচরার জি এম মাহাতাবের ছেলে আতিয়ার রহমান আতি (২২), পশ্চিম টুটপাড়ার মৃত সোবহানের ছেলে নাসির উদ্দিন (২২), মিস্ত্রি পাড়া বাজারের আবুল কালাম শেখের ছেলে  কাওছার শেখ (২৪), শাহ আলমের ছেলে সোহাগ আকন (২০),  খলিল শেখের ছেলে ইমামুল শেখ ইমাম (১৭) ও বাগমারার নান্না তালুকদারের ছেলে নাজমুল তালুকদার (২২)। 
নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাদেম মাসুদ গাজী শনিবার রাতে এশার নামাজ আদায় করে মিস্ত্রিপাড়া বাজার মসজিদ থেকে বের হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। এসময় রাস্তার পাশে বসে থাকা কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বখাটেরা তাকে মারধর করে। তিনি আহত হয়ে বাসায় ফিরে আসেন। বাসায় এসে ঘটনা বলার পর ভাই ইয়াসিন গাজীকে সঙ্গে নিয়ে পুনরায় ঘটনাস্থলে যান। এসময় বখাটেরা তাকে স্থানীয় স্কুল গলির মুখে নিয়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে এবং মুখ ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। তার ভাই ইয়াসিন গাজী ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধর করে। একপর্যায়ে মাসুদ গাজী অচেতন হয়ে পড়লে বখাটেরা পালিয়ে যায়। নিহত মাসুদ গাজী মসজিদের খাদেমের পাশাপশি রং মিস্ত্রি ও বিদ্যুতের কাজও করতেন। তিনি মহানগরীর পূর্ব বানিয়া খামার লোহারগেট নবম গলির বাসিন্দা মুনসুর রহমান গাজীর ছেলে। রোববার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে খুমেক হাসপাতালের মর্গ থেকে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তানন্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড এলাকার লেদ মেশিনের ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন (৪৫) ও শিক্ষানবীশ কর্মচারী মেহেদীর (১৭) মরদেহ একই ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here

আজকের ভোরের ডাক পড়ুন এখানে