Channel Atv

সময়ের সাথে এগিয়ে চলে সাহসের সাথে কথা বলে

আসুন নিজেকে বদলায়। প্রতিদিন একটি ভালো কাজ করি। সুন্দর জীবন ও সমাজ গড়ি। নতুন সকাল

Breaking

Saturday, October 20, 2018

ইবাদতের পাঁচ উইকেটের পর সৌম্যর সেঞ্চুরি

ক্রীড়া রিপোর্ট : বাংলাদেশ সফরের শুরুটাও ভালো হলো না জিম্বাবুয়ে দলের। বিসিবি একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে হারল ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।

দুই ভাগে ভাগ করতে হবে জিম্বাবুয়ের ইনিংসকে। ৪৭ রান তুলতেই নেই ৫ উইকেট। ষষ্ঠ উইকেটে প্রতিরোধ ১২৪ রানের। জুটি ভাঙার পর আবার ব্যাটিংয়ে ধস। ৭ রান তুলতেই শেষ ৫ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। সব মিলিয়ে স্কোরবোর্ডে পুঁজি ১৭৮ রানের।

মাঝারি লক্ষ্য সহজেই তাড়া করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বিসিবি একাদশ। মূল মঞ্চে মাঠে নামার আগে বড় ধাক্কা খেল সফরকারীরা। আর বিসিবি একাদশের জয়ে আত্মবিশ্বাস দ্বিগুণ হলো মূল দলের।

ব্যাটিং কিংবা বোলিং- কোনো বিভাগেই ভালো করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও একই পরিণতি। দলের প্রতিটি ব্যাটসম্যান ও বোলার নিজেদের হারিয়ে খুঁজছেন। এদের মধ্যে আজ ব্যতিক্রম ছিলেন শুধু অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।

ডানহাতি ওপেনার সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। পুরো দল মিলে যেখানে করেছে ১৭৮ রান, সেখানে মাসাকাদজার রান ১০২। দলের বাকিরা করেছেন ৭৬ রান। সফরকারীদের ইনিংসে ধস নামান বাংলাদেশের চার পেসার। ১০ উইকেটের প্রত্যেকটি নিয়েছেন পেসাররা। ডানহাতি পেসার ইবাদত হোসেন একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। জিম্বাবুয়ে সিরিজে মূল দলে ডাক পাওয়া পেসার সাইফউদ্দিন পেয়েছেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন ইমরান আলী ও মোহর শেখ।

জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা স্পিনে দুর্বল বলে তাদেরকে প্রস্তুতি ম্যাচে পরীক্ষায় ফেলেনি বিসিবি। কৌশলে পেসারদের দিয়ে দল সাজায় বিসিবি একাদশ। কিন্তু তাতেও সব পাওয়া হয়ে গেছে বিসিবি একাদশের।

সৌম্যর দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে বিসিবি একাদশ জিতেছে হেসেখেলে। শুরুটা অবশ্য নড়বড়ে ছিল দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও ফজলে রাব্বীর। ব্যাটে বল লাগাতে পারছিলেন না কোনোভাবেই। শটগুলোতেও ছিল না কোনো আত্মবিশ্বাস। এক বাউন্ডারি মেরে খোলস থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন মিজানুর। কিন্তু প্রান্ত বদল করতে গিয়ে রান আউট হন ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষিত ওপেনার।

ফজলে রাব্বীরও একই অবস্থা। ১ রানে জীবন পান মিড অনে। এরপর কাইল জার্ভিসের বলে পয়েন্ট দিয়ে দুর্দান্ত চারে আশার আলো দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ, অফ স্পিনার সিকান্দার রাজার বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে কভারে ক্যাচ দেন। ৩৪ বলে করেন ১৩ রান।

এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বিসিবি একাদশকে। ২২ গজে ব্যাট হাতে ‍দ্যুতি ছড়িয়ে যান সৌম্য। দল থেকে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতা প্রস্তুতি ম্যাচে ধরে রাখেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

৫৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি আর ১০৯ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর শূন্যে লাফিয়ে সেঞ্চুরি উদযাপন করেন। বলার অপেক্ষা রাখে না তার চোখে মুখে ছিল বড় কিছু পাওয়ার আনন্দ।

রানের দেখা পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। দুজন তৃতীয় উইকেটে ১১১ রানের জুটি গড়েন। তাদের দৃঢ়তায় জয়ের খুব কাছাকাছি চলে যায় বিসিবি একাদশ। জয়ের থেকে ১৫ রান দূরে থাকতে মোসাদ্দেক ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হন।  ৩৩ রান করেন মোসাদ্দেক। ব্যাটিংয়ে আসেন আরিফুল হক। শেষ পর্যন্ত তার ছক্কায় ১১ ওভার হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে স্বাগতিকরা।

সৌম্য অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে। ১৩ চার ও ৪ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। আরিফুলের ব্যাট থেকে আসে ৯ রান। 

সৌম্যর সেঞ্চুরি আর পেসারদের দাপটের দিনে হেসেছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। বিকেএসপিতে প্রস্তুতি ম্যাচে জয়ের সুবাস ছড়িয়েছেন সৌম্য, ইবাদতরা। এবার সেই সুবাস মিরপুরে ছড়ানোর পালা। ২১ অক্টোবর প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ে। 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here

আজকের ভোরের ডাক পড়ুন এখানে