নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা-৪ আসনে ধানের শীষের কর্মী-সমর্থকরা হামলা, নির্যাতন ও মামলার শিকার হচ্ছেন অভিযোগ করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, এ বিষয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মিলছেনা। প্রশাসনের দলীয় অনুগত ও চিহ্নিত দলবাজ কর্মকর্তারা দায়িত্বে বহাল থাকলে নির্বাচন কোন মতেই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবেনা বলে মনে করেন তিনি। নিরপেক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তাদের পদায়নের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়ে হেলাল বলেন, সন্ত্রাসী লেলিয়ে হামলা চালিয়ে এবং গায়েবী মামলায় কারাগারে পাঠানো হলেও বিএনপি নির্বাচনের মাঠ ছাড়বেনা।
বৃহস্পতিবার খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলাল এ অভিযোগ করেন। বেলা সাড়ে ১১ টায় অনুষ্ঠিত জণাকীর্ণ এ সংবাদ সম্মেলনে হেলাল বলেন, নির্বাচনের আগে থেকেই গায়েবী মামলা দায়ের শুরু হয়। রূপসা থানায় ৪টি, তেরখাদায় ২টি ও দিঘলিয়া থানায় দুইটি গায়েবী মামলায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী এবং ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। যা নির্বাচনের প্রস্ততি কাজে ব্যাপক বিঘœ সৃষ্টি করে। এছাড়া প্রতীক বরাদ্দের পর ৯ তারিখ সন্ধ্যায় রূপসার আনন্দনগর গ্রামে ছাত্রদলের কর্মী সমাবেশে যোগ দেয়ার সময় সন্ত্রাসী হামলায় আমিনুল ইসলাম, নুর ইসলাম, মাসুদ ও শফিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আহত আরো ৭/৮ জনকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। ১১ ডিসেম্বর রাতে দিঘলিয়ার সেনহাটি ইউনিয়ন থেকে নির্বাচনী প্রচারনা শেষ করে তেরখাদার মধুপুর ইউনিয়নের মোকমপুর বাজারে আসলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা মহসিন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন আওয়ামী লীগ দলীয় সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন, যুবদল নেতা আজিজুল ইসলামসহ ৫/৭ জন গুরুতর আহত হয়। এছাড়া নাসিরপুর গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার মোঃ নাসিরকে সন্ত্রাসীরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। স্বেচ্ছাসেবক দলের আইচগাতি ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ নির্বাচনী প্রচার মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার সময় মিন্টু মেম্বারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাকে গুপ্তি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
আজিজুল বারী হেলাল বলেন, এ সব অভিযোগ নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে যাওয়া হলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, নিবৃাচন কমিশন স্বতন্ত্র সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও সরকারের ইচ্ছাপূরণে নিয়োজিত।
সংবদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি শেখ মুজিবর রহমান, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি খান জুলফিকার আলী জুলু, শেখ আব্দুর রশিদ, এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, সাইফুর রহমান মিন্টু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মেজবাউল আলম, মুর্শিদুর রহমান লিটন, শামীম কবির, তৈয়েবুর রহমান, ইবাদুল হক রুবায়েদ, ইলিয়াস মল্লিক, আতাউর রহমান রনু, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, মোল্লা সাইফুর রহমান, আরিফুর রহমান, মাহাতাব মেম্বার, নাজমুস সাকির পিন্টু, রফিকুল ইসলাম বাবু, এনামুল হক সজল, মোঃ ইসমাইল শেখ, লিটন তালুকদার, দিদারুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনের আগে সকাল ১১ টায় আজিজুল বারী হেলাল খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় করেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল হাসান রুবা, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান নান্নু সহ সর্বস্তরের আইনজীবীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment