Channel Atv

সময়ের সাথে এগিয়ে চলে সাহসের সাথে কথা বলে

আসুন নিজেকে বদলায়। প্রতিদিন একটি ভালো কাজ করি। সুন্দর জীবন ও সমাজ গড়ি। নতুন সকাল

Breaking

Tuesday, November 6, 2018

জিলাপি বিক্রি করে স্বাবলম্বী বিষ্ণু অধিকারী

বাদশা আলম, ফকিরহাট : মিষ্টির আরেক নাম জিলপি  তা যদি হয় গুনগত মান সম্পন্ন খাওয়ার উপযোগী তখন কেমন হয়। জিলপি তৈরীতে রয়েছে তার অনেক সুনাম ও খ্যাতি । এমন একজন কারিগর শুধুমাত্র ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ডের পিতা মৃতঃ ননীগোপাল অধিকারীর পুত্র বিষ্ণু অধিকারী, সংসার জীবনে অনেক কঠোর পরিশ্রম করেও সংসার ঠিকঠাক মত চালাতে সক্ষম ছিল না। বিগত ৫/৬ বছর পূর্বে গোপাল বিড়ি ফ্যাক্টরীতে শ্রমিকের কাজ করত। ফ্যাক্টরীর বেতনে তার সংসার চলত না। সে কাজ ছেড়ে দিয়ে বেতাগা বাজরে ছোট একটা দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে সল্পপুজি নিয়ে জিলপি তৈরী করে বিক্রি  শুরু করে। প্রথম দিকে অল্প অল্প বিক্রি হলেও এক মাসের ভিতরে পরিবর্তন ঘটে । প্রতিদিন দোকানে জিলপি বিক্রিসহ মাঝে মাঝে অর্ডার আসে সে হিসাব মতে এক’শ থেকে দুই’শ কেজি জিলপি যার প্রতিকেজির মূল্য ৮০ টাকা অর্থাৎ পনের থেকে সোল হাজার টাকা বিক্রয় হয়। যাবতীয় খরচ খরচা দিয়ে প্রতিদিনএক হাজার থেকে বার’শ টাকা আয় হয়। এক ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বর্তমানে সুখে-শান্তিতে রয়েছেন। তার জিলাপী তৈরী ও বিক্রি কাজে সহযোগিতা করছে তার একমাত্র ছেলে সীমান্ত। লেখাপড়াও চালিয়ে যাচ্ছে। আগের দিনে তিন বেলা ঠিকমত খাওয়া হত না। এখন তার সংসারের সবকিছুর অভাবের অবসান ঘটেছে। বিষ্ণু অধিকারীর একটি ভালো ঘর হয়েছে। বেতাগা বাজারের সাথে একটু জমি ক্রয় করে সেখানে জিলপির দোকান দিয়েছে। এখন আগেরমত আর ভাড়া দিতে হচ্ছে না। বিষ্ণু অধিকারীর সাথে একান্ত ভাবে এ প্রতিনিধিকে জানায় বার বছর পূর্বে তার সীমাহীন অভাব ছিল। এখন সে এই জিলপি তৈরী করে ফকিরহাটসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তার এই জিলপি বড় বড় অনুষ্ঠানে অর্ডার নেওয়াসহ দোকানে ভালই বিক্রয় হচেছ। তিনি বলেন এখন আমার ছেলে সীমান্ত অর্নাস পড়ুয়া ও মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। ছেলের লেখপড়ার শেষে ভালো একটা চাকরি পেলে আমার এতদিনের পরিশ্রমের স্বপ্ন পূরণ হবে।  
x

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here

আজকের ভোরের ডাক পড়ুন এখানে