Channel Atv

সময়ের সাথে এগিয়ে চলে সাহসের সাথে কথা বলে

আসুন নিজেকে বদলায়। প্রতিদিন একটি ভালো কাজ করি। সুন্দর জীবন ও সমাজ গড়ি। নতুন সকাল

Breaking

Thursday, October 25, 2018

বাসচাপায় মিম ও করিম নিহত : ৬ আসামির বিচার শুরু

ঢাকা অফিস : বাসচাপায় রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম নিহতের মামলায় জাবালে নূর পরিবহনের বাসের মালিকসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত আগামী ১ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। এর আগে কারাগার থেকে চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনালে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।

যাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হলো তারা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের ঘাতক বাসের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ, চালক মাসুম বিল্লাহ, চালকের সহকারী মো. এনায়েত হোসেন, চালক মো. জোবায়ের সুমন, বাস মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও চালকের সহকারী মো. আসাদ কাজী। এদের মধ্যে জাবালে নূর বাসের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও চালকের সহকারী মো. আসাদ কাজী পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। অপর চার আসামি কারাগারে রয়েছে।

আসামিদের মধ্যে শাহদাত হোসেন, মাসুম বিল্লাহ ও জোবায়ের সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ২২ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে অভিযোগ গঠনের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশের উত্তর ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটটি বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় দাখিল করা হয়েছে। ৩০৪ ধারা অনুযায়ী, খুন বলে গণ্য নয় এরূপ দণ্ডনীয় নরহত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

দাখিলকৃত চার্জশিটে ৪১ জনকে সাক্ষী এবং ছয় প্রকার আলামত জব্দ দেখানো হয়। আলামতের মধ্যে তিনটি বাস এবং তিনটি ড্রাইভিং লাইসেন্স। বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় মামলাটি সিএমএম আদালত থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে কালশী ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুত গতিসম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়। চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন। আহত হন ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী।

ওই ঘটনায় ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহতে মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here

আজকের ভোরের ডাক পড়ুন এখানে