Channel Atv

সময়ের সাথে এগিয়ে চলে সাহসের সাথে কথা বলে

আসুন নিজেকে বদলায়। প্রতিদিন একটি ভালো কাজ করি। সুন্দর জীবন ও সমাজ গড়ি। নতুন সকাল

Breaking

Tuesday, January 8, 2019

রূপসায় কৃষকের দু’হাতের কব্জি কর্তন ঘটনায় আ’লীগ নেতা লিটুসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রূপসায় কৃষক সাদ্দাম হোসেনের (৬৫) দু’হাতের কব্জি কেটে হাত বিচ্ছিন্ন ও দু’পায়ের রগ কর্তন ঘটনায় জাবুসা গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ প্রচার সম্পাদক মো. লিটু শেখ (৫০) সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল আহত সাদ্দামের ছেলে মো. অসীম শেখ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৭, তাং ০৭/০১/১৯। এজাহার ভুক্ত অন্যান্য আসামীরা হলেন, একই গ্রামের ইশারাত ফকিরের ছেলে মো. রাসেল ফকির (৩৫), মো. রাজু ফকির (৩৮), মো. লিয়াকত ফকিরের ছেলে মো. শাকিল ফকির (২৫), আকমল ফকিরের ছেলে দূর্যোগ ফকির (১৯), মৃত আরশাদ ফকিরের ছেলে মো. নজু ফকির (৫০), হাশেম ফকিরের ছেলে তামীম ফকির (২২), হাফিজার মোল্লার ছেলে মো. নাদিম মোল্লা (২৫) ও লোকমান ফকিরের ছেলে মো. কামাল ফকির (৫০)। মামলায় অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জন জড়িত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় নজু ফকির ছাড়া আর কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, ঘটনার দিন ফজরের নামাজ আদায় করার পর সকাল ৭টার দিকে প্রতিদিনের মত আমার আব্বা সাদ্দাম হোসেন রূপসা ব্রীজের নিচে তোফাজ্জেলের চায়ের দোকানে চা পান করতে যায়। দোকানে যাওয়ার পূর্ব মুহুর্তে রূপসা ব্রীজের নিচে পৌঁছালে আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আগে থেকে চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, কুড়াল, আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরিসহ তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি ভ্যান যোগে ব্রীজের নিচে পৌঁছে পিলারের আড়ালে অবস্থান করতে থাকে। আমার পিতা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামীরা পিলারের আড়াল থেকে বের হয়ে ধীরে ধীরে চারদিক থেকে তাকে ঘিরে ফেলতে থাকে। আসামীদের উপস্থিতিতে আমার আব্বার সন্দেহ হলে তিনি আমাদের বাড়িতে ফোন দিতে গেলে ১নং আসামী লিটু শেখ এর হুকুমে ২ থেকে ৯ নং আসামী আতর্কিত ভাবে আমার আব্বাকে ঝাপটে ধরে। আসামী কামাল ও নজু ফকির আমার আব্বার দুই হাত ধরে মাটিতে ফেলে চেপে ধরে। আসামী রাসেল আমার আব্বার পিঠের উপর উঠে গলা চেপে ধরে। এসময় আসামী তামিম চাপাতি দিয়ে আমার আব্বার ডান হাতের কবজির উপর হতে এবং আসামী শাকিল চাপাতি দিয়ে বাম কবজির উপর হতে কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। আসামী নাদিম ছুরি দিয়ে বাম পায়ের গোড়ালির উপর ও আসামী কামাল ফকির চাইনিজ কুড়াল দিয়ে ডান পায়ের গোড়ালির উপর কুপিয়ে শিরা কেটে পা বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় লোক মারফত খবর পেয়ে আমার মা ছায়রা বেগম ও আমি ঘটনাস্থলে যেতে গেলে নজু ফকির ও কামাল ফকির ধারালো ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের হত্যার উদ্দেশে ধাওয়া করে। আমাদের ডাক চিৎকারে লোকজন জড়ো হতে থাকলে আসামীরা আমার আব্বার কেটে ফেলা হাত দু’টি নদীর পাড়ে ফেলে মোটরসাইকেল ও ভ্যানযোগে গ্রামের দিকে চলে যায়। 
প্রসঙ্গত, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ৭ জানুয়ারী সকালে সন্ত্রাসীরা জাবুসা গ্রামের সাদ্দাম হোসেনকে কুপিয়ে দু’হাতের কবজি থেকে হাত বিচ্ছিন্ন এবং দু’পায়ের রগ কর্তন করে। আহত সাদ্দাম বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা এখনো আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
সাদ্দাম হোসেনের বড় ছেলে নাসিম বলেন, এর আগে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে আসামীদের সাথে আমাদের দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জের ধরে ২০১২ সালের ৩ আগস্ট সন্ত্রাসীরা আমার আব্বাসহ পরিবারের ৭জনকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় নজু ফকিরসহ ৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের হয়। যা এখনো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া এর আগে এদের বিরুদ্ধে সাদ্দাম হোসেন আদালতে ১০৭ ধারায়ও একটি মামলা দায়ের করেন। 
এব্যাপারে রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আহত সাদ্দাম হোসেনের ছেলে অসীম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here

আজকের ভোরের ডাক পড়ুন এখানে