বিজ্ঞপ্তি : নির্বাচনী প্রচারনা চালাতে গিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন ও সরকার সবাই মিলে একটি ষড়যন্ত্রের নির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর। প্রশাসন ও সরকারি দল একই সুরে কথা বলছে এবং নির্বাচনের নামে একটি প্রহসন দেখার অপেক্ষায় আছি।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর মহিলা দলের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে নগর সভাপতি রেহানা ঈসা অভিযোগ করেন, সোমবার বিকেল ৪টায় মহিলা দলের কর্মীরা ২২ নং ওয়ার্ডের বেলায়েত হোসেন সড়ক এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে প্রচারনা চালাতে গেলে নৌকার কর্মীরা তাদের পথ আটকে দেয়। এর প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা সাবেক মহিলা কাউন্সিলর রাবেয়া ফাহিদ হাসনা হেনার গালে থাপ্পর মারে। মহিলা দল নেত্রী মেঘনা, সুলতানা, বিউটি, সানিয়া, পুতুল, কাকন,কওসারি জাহান মঞ্জু, জেসমিন, লায়লা, রুমানা, হাসিনা, রুবি, জাহানারা ও কাকলিসহ অনেক মহিলা কর্মীকে পিটিয়ে লাঞ্চিত করে। আওয়ামী ক্যাডার সন্ত্রাসী রাঙ্গা বাদশা, হাফিজ, ওলিউল্লাহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও এলাকা ত্যাগ না করলে ধর্ষণ করা হবে বলে হুমকি দেয়। পরে মানবাধিকার কর্মী ও খুলনা-২ আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর স্ত্রী মানবাধিকার কর্মী এ্যাড. সৈয়দা সাবিহা সেখানে পৌছালে ধানের শীষের কর্মীরা পুনরায় গণসংযোগ করার উদ্যোগ নেয়। সন্ত্রাসীরা পুনরায় সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ঘিরে ফেলে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকলে তারা নিরাপদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এ সময় সেখানে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা ছিল নির্বিকার।
মহিলা দল নেত্রীরা জানতে চান, রাজপথে নারেিক অত্যাচার করে, লাঞ্ছিত করে, অপমানিত করে, প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে দেশ ও নারী জাতির কোন উন্নয়ন চান এই সরকার?
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে এ্যাড. সৈয়দা সাবিহা, এ্যাড. কানিজা ফাতেমা আমিন, কোহিনুর বেগম, রোকেয়া ফারুক, হাসনা হেনা, কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন, মুন্নি জামান, কওসারী জাহান মঞ্জু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Wednesday, December 26, 2018
‘রাজপথে নারীকে লাঞ্ছিত করে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে কোন উন্নয়ন চান সরকার ?’
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post Top Ad
Responsive Ads Here
No comments:
Post a Comment