বিজ্ঞপ্তি : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১০২ খুলনা-৪ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও মহাজোট সমর্থিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক কৃতি ফুটবলার আব্দুস সালাম মূর্শেদী (এমপি) বলেছেন, তার নির্বাচনী এলাকা রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়ায় নৌকা প্রতিকের প্রতি ভোটারদের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভোটাররা বুঝতে পেরেছেন, নৌকার বিজয় হলে আগামীতে সারা দেশের মতো এই আসনটি হবে উন্নয়নের রোল মডেল। আর এ কারণে নিজেদের নিশ্চিত পরাজয়ের আশঙ্কা থেকে ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী অব্যাহত মিথ্যাচার চালিয়ে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।
শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী আজিজুল বারী হেলালের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র ও নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয় এই সংবাদ সন্মেলনে।
লিখিত বক্তব্যে জনাব সালাম মূর্শেদী বলেন, ‘এই আসনে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে যিনি প্রার্থী হয়েছেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে থেকেই তিনি একের পর এক অসত্য অভিযোগ দিয়ে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করার চেষ্টায় লিপ্ত। আপনারা জানেন, আমি দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্প উদ্যোক্তা। আমি বহু বছর আগে থেকেই আমার এলাকায় কর্মসংস্থান, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে আমার উপর অর্পিত সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করে আসছি।’
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে-পরে আমার নির্বাচনী এলাকা রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও, সাধারণ মানুষের মধ্যে আমাকে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নারী ভোটার ও নতুন ভোটারদে মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে আমাকে নিয়ে। এলাকার প্রবীণরাও আবেগ-আপ্লুত হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরছেন। আমার বিশ^াস আমি এই নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে বিজয়ী হব। ইতিমধ্যে আমার নির্বাচনী এলাকায় নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আপনারা জানেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে আজ একটি মর্যাদাশীল দেশে রূপান্তর করেছেন। সারা বিশে^ বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের একটি রোল মডেল। আমি বিজয়ী হলে আমার আসনটিও হবে দেশের জন্য উন্নয়নের একটি আধুনিক রোল মডেল।
সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়, আমার ধারণা আমাকে শক্ত প্রতিপক্ষ ভেবে ও নিজেদের ব্যাপক ভরাডুবির আশঙ্কা থেকে ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী একের পর এক মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সবশেষ গত ১৯ ডিসেম্বর মিডিয়া কর্মীদের কাছে তিনি আমার ও আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য দিয়েছেন। এসবের উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করা। ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, আমার দলীয় নেতাকর্মীরা নাকি তাদের কার্যালয় ভাঙচুর করছেন, দখল করছেন। আমি বিনয়ের সঙ্গে বলছি, এ পর্যন্ত এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। তারা যেসব অভিযোগ আনছেন সেগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট। বরং বিভিন্ন এলাকা থেকে আমার কাছে অভিযোগ আসছে বিএনপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
সালাম মূর্শেদী বলেন, আমি আপনাদের একটু পেছনে নিয়ে যেতে চাই। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ১৯৯৯ সালে বিএনপি জোটের যশোরে উদিচি শিল্পীগোষ্ঠীর ওপর বোমা হামলার কথা। ২০০১ সালে রমনা বটমূলে গ্রেনেড হামলার কথা। ২০০২ সালে নাইকো দুর্নীতি ও লুটপাটের কথা। ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ২০০৫ সালে ৫০০ সিরিজ বোমা হামলা, ২০১৪ সালে নিরীহ মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা হামলার কথা। সেই বিএনপি-জামাত জোট আবারও এক হয়ে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছে। আমার নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মী এবং আমার বিরুদ্ধে ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থীর অভিযোগগুলো সেটিই আবার ইঙ্গিত করছে। তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বক্তব্যের শেষের দিকে সালাম মূর্শেদী জাপানি পত্রিকা নিক্কির একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন। যেখানে বলা হয়েছে, ‘উল্লেখযোগ্য হারে আন্তর্জাতিক নজর ছাড়াই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশের পোশাক খাত চীনের পরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক। বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় এক দশক ধরে ৬ শতাংশের বেশি হারে বড় হচ্ছে। ২০০৯ সালের পর মাথাপিছু আয় তিন গুণ হয়েছে। ক্ষুধা জয় করে বাংলাদেশ এখন সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ।
নিক্কির প্রতিবেদনটি গত বুধবার প্রকাশ করা হয়। এটির শিরোনাম, ‘দ্য রাইজ অ্যান্ড রাইজ অব বাংলাদেশ: দ্য ইকোনমি ইজ বুমিং, ডাজ শেখ হাসিনা ডিজার্ভ দ্য ক্রেডিট।’ এর মানে দাঁড়ায়, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি কৃতিত্ব আশা করতে পারেন?
নিক্কি ইনকরপোরেশন জাপানের একটি প্রকাশনা সংস্থা। তাদের নিক্কি পত্রিকাটি ১৪০ বছর ধরে প্রকাশিত হচ্ছে। একই গোষ্ঠীর ইংরেজি ভাষার ব্যবসা-বাণিজ্যভিত্তিক জার্নাল নিক্কি এশিয়ান রিভিউ। বাংলাদেশ নিয়ে নিক্কি এশিয়ান রিভিউতে যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে, সেটিকে তারা মূল প্রতিবেদন বা কভার স্টোরি বলছে। প্রতিবেদনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া, পোশাক ছাড়াও অন্যান্য খাতের অগ্রগতি, বড় প্রকল্প, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, চীনের বিনিয়োগ ইত্যাদি নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তুলে ধরা হয়েছে আসন্ন নির্বাচন ও রাজনৈতিক প্রসঙ্গও।
নিক্কির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশকে মানুষ চিনত দরিদ্র ও দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে। এখন বাংলাদেশকে সামলাতে হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম বড় সংকট, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ঢল। এত কিছুর পরও বাংলাদেশ থেমে নেই। চলতি বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ একটি মাহেন্দ্রক্ষণ উদ্যাপন করেছে, যখন জাতিসংঘের মানদন্ডে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সালাম মূর্শেদী জানান, শনিবার ভোর রাতে তেরখাদা উপজেলার হাড়িখালি ব্রিজ এলাকায় তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের হাতে ভাংচুর হওয়া অফিসের কিছু ছবিও সাংবাদিকদের দেখানো হয়। এতে দেখা যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ছবিও ভাংচুর করা হয়।
সংবাদ সন্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মোল্লা জালাল উদ্দিন, সহসভাপতি ও খুলনা-৪ আসনের নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এডভোকেট এএম মুজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী, অধ্যক্ষ ফেরদৌস সরদার, প্রিন্সিপাল ফ.ম সালাম প্রমুখ। এসময় জেলা ও থানা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী আজিজুল বারী হেলালের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র ও নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয় এই সংবাদ সন্মেলনে।
লিখিত বক্তব্যে জনাব সালাম মূর্শেদী বলেন, ‘এই আসনে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে যিনি প্রার্থী হয়েছেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে থেকেই তিনি একের পর এক অসত্য অভিযোগ দিয়ে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করার চেষ্টায় লিপ্ত। আপনারা জানেন, আমি দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্প উদ্যোক্তা। আমি বহু বছর আগে থেকেই আমার এলাকায় কর্মসংস্থান, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে আমার উপর অর্পিত সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করে আসছি।’
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে-পরে আমার নির্বাচনী এলাকা রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও, সাধারণ মানুষের মধ্যে আমাকে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নারী ভোটার ও নতুন ভোটারদে মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে আমাকে নিয়ে। এলাকার প্রবীণরাও আবেগ-আপ্লুত হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরছেন। আমার বিশ^াস আমি এই নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে বিজয়ী হব। ইতিমধ্যে আমার নির্বাচনী এলাকায় নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আপনারা জানেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে আজ একটি মর্যাদাশীল দেশে রূপান্তর করেছেন। সারা বিশে^ বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের একটি রোল মডেল। আমি বিজয়ী হলে আমার আসনটিও হবে দেশের জন্য উন্নয়নের একটি আধুনিক রোল মডেল।
সংবাদ সন্মেলনে বলা হয়, আমার ধারণা আমাকে শক্ত প্রতিপক্ষ ভেবে ও নিজেদের ব্যাপক ভরাডুবির আশঙ্কা থেকে ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী একের পর এক মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সবশেষ গত ১৯ ডিসেম্বর মিডিয়া কর্মীদের কাছে তিনি আমার ও আমার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য দিয়েছেন। এসবের উদ্দেশ্য হচ্ছে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করা। ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, আমার দলীয় নেতাকর্মীরা নাকি তাদের কার্যালয় ভাঙচুর করছেন, দখল করছেন। আমি বিনয়ের সঙ্গে বলছি, এ পর্যন্ত এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। তারা যেসব অভিযোগ আনছেন সেগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট। বরং বিভিন্ন এলাকা থেকে আমার কাছে অভিযোগ আসছে বিএনপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
সালাম মূর্শেদী বলেন, আমি আপনাদের একটু পেছনে নিয়ে যেতে চাই। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ১৯৯৯ সালে বিএনপি জোটের যশোরে উদিচি শিল্পীগোষ্ঠীর ওপর বোমা হামলার কথা। ২০০১ সালে রমনা বটমূলে গ্রেনেড হামলার কথা। ২০০২ সালে নাইকো দুর্নীতি ও লুটপাটের কথা। ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ২০০৫ সালে ৫০০ সিরিজ বোমা হামলা, ২০১৪ সালে নিরীহ মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা হামলার কথা। সেই বিএনপি-জামাত জোট আবারও এক হয়ে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছে। আমার নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মী এবং আমার বিরুদ্ধে ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থীর অভিযোগগুলো সেটিই আবার ইঙ্গিত করছে। তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বক্তব্যের শেষের দিকে সালাম মূর্শেদী জাপানি পত্রিকা নিক্কির একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন। যেখানে বলা হয়েছে, ‘উল্লেখযোগ্য হারে আন্তর্জাতিক নজর ছাড়াই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশের পোশাক খাত চীনের পরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক। বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় এক দশক ধরে ৬ শতাংশের বেশি হারে বড় হচ্ছে। ২০০৯ সালের পর মাথাপিছু আয় তিন গুণ হয়েছে। ক্ষুধা জয় করে বাংলাদেশ এখন সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ।
নিক্কির প্রতিবেদনটি গত বুধবার প্রকাশ করা হয়। এটির শিরোনাম, ‘দ্য রাইজ অ্যান্ড রাইজ অব বাংলাদেশ: দ্য ইকোনমি ইজ বুমিং, ডাজ শেখ হাসিনা ডিজার্ভ দ্য ক্রেডিট।’ এর মানে দাঁড়ায়, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি কৃতিত্ব আশা করতে পারেন?
নিক্কি ইনকরপোরেশন জাপানের একটি প্রকাশনা সংস্থা। তাদের নিক্কি পত্রিকাটি ১৪০ বছর ধরে প্রকাশিত হচ্ছে। একই গোষ্ঠীর ইংরেজি ভাষার ব্যবসা-বাণিজ্যভিত্তিক জার্নাল নিক্কি এশিয়ান রিভিউ। বাংলাদেশ নিয়ে নিক্কি এশিয়ান রিভিউতে যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে, সেটিকে তারা মূল প্রতিবেদন বা কভার স্টোরি বলছে। প্রতিবেদনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া, পোশাক ছাড়াও অন্যান্য খাতের অগ্রগতি, বড় প্রকল্প, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, চীনের বিনিয়োগ ইত্যাদি নানা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তুলে ধরা হয়েছে আসন্ন নির্বাচন ও রাজনৈতিক প্রসঙ্গও।
নিক্কির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশকে মানুষ চিনত দরিদ্র ও দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে। এখন বাংলাদেশকে সামলাতে হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম বড় সংকট, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ঢল। এত কিছুর পরও বাংলাদেশ থেমে নেই। চলতি বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ একটি মাহেন্দ্রক্ষণ উদ্যাপন করেছে, যখন জাতিসংঘের মানদন্ডে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সালাম মূর্শেদী জানান, শনিবার ভোর রাতে তেরখাদা উপজেলার হাড়িখালি ব্রিজ এলাকায় তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের হাতে ভাংচুর হওয়া অফিসের কিছু ছবিও সাংবাদিকদের দেখানো হয়। এতে দেখা যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ছবিও ভাংচুর করা হয়।
সংবাদ সন্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মোল্লা জালাল উদ্দিন, সহসভাপতি ও খুলনা-৪ আসনের নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এডভোকেট এএম মুজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী, অধ্যক্ষ ফেরদৌস সরদার, প্রিন্সিপাল ফ.ম সালাম প্রমুখ। এসময় জেলা ও থানা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment