Channel Atv

সময়ের সাথে এগিয়ে চলে সাহসের সাথে কথা বলে

আসুন নিজেকে বদলায়। প্রতিদিন একটি ভালো কাজ করি। সুন্দর জীবন ও সমাজ গড়ি। নতুন সকাল

Breaking

Friday, December 21, 2018

নির্বাচনী প্রচারনা কার্যক্রম বন্ধ রেখে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তোলার হুশিয়ারী হেলালের

বিজ্ঞপ্তি : আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃতাধীন ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট মনোনীত খুলনা-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আজিজুল বারী হেলালের প্রেস ব্রিফিং ২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক বলেন, খুলনা-৪ আসন থেকে যিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে বড় অংকের অর্থ দাতা। তাকে নির্বাচনে জেতানোকে বাধ্যবাধকতা মনে করে প্রশাসন প্রস্ততি নিচ্ছে। প্রশাসনের উচ্চপদ মর্যাদার অফিসাররা মিলে দফায় দফায় বৈঠক করে খুলনা বিভাগের অন্যতম আসন খুলনা-৪ এ ভোট ডাকাতির ছক একেছেন। নির্বাচনী এলাকায় ত্রাসের রাজ্যত্ব কায়েম করতে নির্বাচন আয়োজকরা মেতে উঠেছে বলে প্রেস ব্রিফিং এ দাবি করেন খুলনা-৪ আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হেলাল। তিনি প্রেস ব্রিফিং এ অভিযোগ করে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়ার প্রায় ১৫টি ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচার অফিসের আসবাসপত্র, প্রচার সামগ্রী মাইকসেটসহ চেয়ার টেবিল পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতেই নিয়ে গেছে সরকার দলের ক্যাডাররা। আমার একাধিক ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচার ভাংচুর করে এবং সেই অফিস দখল করে নৌকা মার্কার প্রচার অফিস তৈরী করেছে। সিইসি, জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রূপসা থানায় একাধিক লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। হাসিনা সরকারের অধীনে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারেনা বলে ঐক্যফ্রন্ট যে অভিযোগ করেছিল সারা দেশে ধানের শীষের কর্মীদের ওপর হামলা, মামলা, নির্যাতন, গণগ্রেফতার ও দমন-পীড়ন থেকে তার প্রমাণ মিলেছে। খুলনা-৪ আসনে গত কয়েকদিনে নির্বিচারে গণগ্রেফতার ও নির্যাতনের অসংখ্য বিবরণ তুলে ধরে বলা হয়, আজকের পর আর যদি একজন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয় তবে নির্বাচনী প্রচারনা কার্যক্রম বন্ধ রেখে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা গত কয়েকদিনে তাদের নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী দলীয় ক্যাডার, পুলিশ ও প্রশাসনের লোকদের অপতৎপরতার নানা চিত্র তুলে ধরেন। এমন কি ৮ জনকেক রামদা ও গুপ্তি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে, যারা এখনো খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। বিনা ওয়ারেন্টে নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার, মহিলা কর্মীদের লাঞ্ছিত করা, লিফলেট কেড়ে নেয়া, পোস্টার ছিড়ে ফেলা, নির্বাচনী টেন্টে আগুন দেয়া, কুপিয়ে কর্মীদের আহত করার অসংখ্য অভিযোগ তুলে ধরেন। পুলিশ প্রশাসন কিভাবে ডিবির জ্যাকেট গায়ে ভোট কেন্দ্রে ঢুকবে, কিভাবে বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করবে, কিভাবে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হবে, কিভাবে ভোট ডাকাতি করবে এ নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছক তৈরি করছেন বলে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়ার একাধিক গায়েবী মামলায় চার্জশিট দাখিল করে ধানের শীষের কর্মীদের গ্রেফতার করে নির্বাচনের মাঠ ফাঁকা করার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি খান জুলফিকার আলী জুলু, সহ সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, জেলা বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী, যুগ্ম সম্পাদক মেজবাউল আলম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম কবির, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি তৈয়বুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান রুনু জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী, সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তুহিন প্রমুখ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here

আজকের ভোরের ডাক পড়ুন এখানে