রোববার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আছাদুজ্জামান বলেন, এবার ঢাকা মহানগরীতে ২৩৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে ৯টি সবচেয়ে বড় মণ্ডপ। এগুলো হলো-ঢাকেশ্বরী মন্দির, রামকৃষ্ণ মঠ, কলাবাগান পূজামণ্ডপ, বনানীর মণ্ডপ, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, রমনা কালী মন্দির, উত্তরা সার্বজনীন পূজামণ্ডপ, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট সমাজকল্যাণ সংঘ ও বসুন্ধরা সার্বজনীন পূজামণ্ডপ। এই নয়টি মণ্ডপসহ সকল মণ্ডপেই কয়েকস্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি মণ্ডপ সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটর করা হবে, প্রবেশকালে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে হবে। এসব মণ্ডপে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
দশমীর দিনে বিজয়া শোভাযাত্রার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শোভাযাত্রার রুট হবে ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে বেরিয়ে পলাশীর মোড়, জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, সরকারি কর্মচারি হাসপাতাল, গোলাপ শাহ মাজার হয়ে, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার হয়ে, সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে দিয়ে, নবাবপুর সড়ক দিয়ে রায় সাহেব বাজার মোড়, বাহাদুর শাহ পার্ক, জঘন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, পাটুয়াটুলি হয়ে ওয়াইজঘাটে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে বিসর্জন হবে। শোভাযাত্রা ও বিসর্জন ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শোভাযাত্রার সামনে পেছনে ও মাঝে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
আমরা পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে কয়েক দফায় বৈঠক করেছি। পূজায় সব ধরনের পটকা আতশবাজি, মাদকের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। নিরাপত্তা সুবিধায় বিজয়া শোভাযাত্রায় উচ্চস্বরে বাজনা বন্ধ থাকবে। বিসর্জনের সময় নদীতে নৌ পুলিশ, ডুবুরিরা মোতায়েন থাকবে। সার্চলাইটের মাধ্যমে পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
এবার বিসর্জনের দিন পড়েছে শুক্রবার। তাই আজানের সময়, নামাজের সময় দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সকল ধরনের বাদ্য বাজনা স্থগিত থাকবে।
পুরো ঢাকা শহরে নিরাপত্তা চেকপোস্ট থাকবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সম্মানিত ভক্তকুল ও দর্শনার্থীদের অনুরোধ জানাচ্ছি, পুজামণ্ডপে ছুরি কাচি, পোটলা, ব্যাকপ্যাক, ব্যাগ নিয়ে আসবেন না। কারণ কাউকে এসব নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
No comments:
Post a Comment