Channel Atv

সময়ের সাথে এগিয়ে চলে সাহসের সাথে কথা বলে

আসুন নিজেকে বদলায়। প্রতিদিন একটি ভালো কাজ করি। সুন্দর জীবন ও সমাজ গড়ি। নতুন সকাল

Breaking

Wednesday, December 26, 2018

মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের পুলিশী হয়রানি করে গনজোয়ার ঠেকানে যাবে না : হেলাল

প্রেস ব্রিফিং : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুলনা জেলাব্যাপি শাসক দলের ক্যাডারদের সন্ত্রাস, পুলিশের হয়রানি, মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরির প্রতিবাদে খুলনা জেলা বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের খুলনা-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল প্রেস ব্রিফিং ২৫ ডিসেম্বর’১৮ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ব্রিফিংএ  হেলাল বলেন, হাসিনা সরকারের অধীনে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারেনা বলে ঐক্যফ্রন্ট যে অভিযোগ করেছিল সারা দেশে ধানের শীষের কর্মীদের ওপর হামলা, মামলা, নির্যাতন, গণগ্রেফতার ও দমন-পীড়ন থেকে তার প্রমাণ মিলেছে। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আমার নির্বাচনী এলাকায় একাধিক মামলা হামলা ও গনগ্রেফতারে দিশেহারা হয়ে পরেছে খুলনা-৪ আসনের রুপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়ার ধানের শীষ প্রতীকের নেতাকর্মী সমর্থক ও সাধারন ভোটার। চলছে পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতেই সরকার দলের ক্যাডারদের তান্ডব। একাধিক ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচার মাইক ভাংচুর করে এবং সেই অফিস দখল করে নৌকা মার্কার প্রচার অফিস তৈরী করেছে। প্রতিদিন প্রচারে গেলে হামলা মামলার শিকার হচ্ছে, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে সিইসি এবং খুলনায় জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন থানায় একাধিক লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। আমি একাধিক বার নির্বাচনের নিয়োজিত সিইসি এবং খুলনায় জেলা রির্টানিং কর্মকর্তাদের সাথে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি ও ফোন করেছি। কিন্তু কোন প্রতিকার তো দুরের কথা আরো বেশি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর রাত থেকে ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পদধারী শীর্ষ ৮৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের নামে সরকারের দেওয়া গায়েবী মামলায় জামিনে আছেন তারপরও গতরাতে বিনা ওয়ারেন্টে ৮৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। রুপসা উপজেলার টিএবি ইউনিয়ন থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান টুকু, আসাবুর মোড়ল, ফিরজ মেম্বর সহ ৩ জন, নৈহাটি ইউনিয়ন থেকে ইলিয়াস মেম্বর, সোহাগ শিকদার, মোমিনুর রহমান সাগর, আবু সাইদ, মোহিদ শেখ, মোমতাজুর রহমান, সাকিব রায়হান, মোঃ বাবু, মোঃ জিয়া, আজমল হোসেন, মোঃ রনি, ফয়সাল আহম্মদ, মোঃ তুহিন। আইচগাতি ইউনিয়ন থেকে কামাল হোসেন ও রনি জম্মাদার সহ ২জন। দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়ন থেকে আসাদ মেম্বর, মোঃ তায়েজ, মোঃ হুমায়ন, মোঃ ইব্রাহিম সহ ৩ জন। বারাকপুর ইউনিয়ন থেকে হেমায়েত চৌধুরী, হান্নান মল্লিক সহ সাত জন। বাদাল থেকে গতরাতে গ্রেফতার করে সোহেল রানা তুহিন, দীন ইসলাম দিপ্ত, ইমরান মোড়ল, সরিফ ইযারাদার, রাজু ইযারাদার সহ বিএনপির ১৪ জন। তেরখাদা উপজেলা থেকে তেরখাদা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক হুমায়ন মোল্লা, নূর ইসলাম শেখ, সাইফুল শেখ, হাবিব শিকদার, সোহেল শিকদার, পারভেজ আলম, হানিফ ফকির, জামাল ভুইয়া সহ পাঁচ জন। ২৫ ডিসেম্বর খুলনা কোর্টে গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের খাবার দিতে গেলে সেখান থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায় সায়াবুদ্দিন ইজারাদার, মনির লষ্কর, কবির শেখ। উত্তর রুপসা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এস এম বোরহান উদ্দীন এবং সরকারী বংগবন্ধু কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো জাহিদ হাসান শোভন কে ২নং শ্রীফলতলা ইউনিয়নের মৈশাঘুনী বাজার থেকে আসার পথে আওয়ামিলীগের সন্ত্রাসীরা মারধর করে আহত করেন এবং বোরহানের গাড়ি ভাংচুর করে। তাদেরকে খুলনা সদর হাসপাতালে তাৎক্ষনিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে হেলাল বলেন, আমার গনসংযোগের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা প্রবেশ করে উষ্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে আমার নেতাকর্মীকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করেছে, আমি নিজে নেতাকর্মীদের শান্ত করেছি। তারপরও সরকার দলের ক্যাডারা বিভিন্ন জায়গায় হামলা করেছে। এবং নিজেদের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে বিনা ওয়ারেন্টে নেতাকর্মীদের গনগ্রেফতার করচ্ছে। মহিলা কর্মীদের লাঞ্ছিত করা, লিফলেট কেড়ে নেয়া, পোস্টার ছিড়ে ফেলা, নির্বাচনী টেন্টে আগুন দেয়া, কুপিয়ে কর্মীদের আহত করার অসংখ্য অভিযোগ তুলে ধরে হয়। পুলিশ প্রশাসন কিভাবে ভোট কেন্দ্রে ঢুকবে, কিভাবে বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করবে, কিভাবে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হবে, কিভাবে ভোট ডাকাতি করবে এ নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছক তৈরি করছেন বলে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া রুপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়ার একাধিক গায়েবী মামলায় চার্জশিট দাখিল করে ধানের শীষের কর্মীদের গ্রেফতার করে নির্বাচনের মাঠ ফাঁকা করার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি খান জুলফিকার আলী জুলু, সহ সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, জেলা বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী, যুগ্ম সম্পাদক মেজবাউল আলম, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম কবির, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি তৈয়বুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান রুনু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী, সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তুহিন, নাদিমুজ্জামান জনি প্রমুখ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here

আজকের ভোরের ডাক পড়ুন এখানে