ঢাকা অফিস : টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলিগ জমায়েতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। টঙ্গীতে জোড় ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামায়াতের দিল্লির মারকাজ এবং দেওবন্দর মাদ্রাসার অনুসারী দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক।
শনিবার সকাল থেকে বিমানবন্দর সড়ক এলাকায় টঙ্গীর প্রবেশ মুখে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন দূর পাল্লার যানবাহন।
গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক একেএম কাওসার চৌধুরী জানান, মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা ইসমাইল মন্ডল নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। নিহত ইসমাইলের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গেছে। সকাল থেকে সংঘর্ষ হলে তা দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দুই পক্ষের শতাধিক লোক টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পূর্বে থেকেই তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দল চলে আসছিল। এ কারণে জানুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিত বিশ^ ইজতেমার প্রথম পর্ব স্থগিত করা হয়েছে। দেওবন্দপন্থিদের আবেদনের প্ররিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন গত শুক্রবার এক আদেশে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের আগে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।
দিল্লির মারকাজের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা এর মধ্যেই পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার ঘোষণা দিলে দেওবন্দপন্থি মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা দিন কয়েক আগে ইতজেমা মাঠ দখল করে পাহারা দেন। এ অবস্থায় মাওলানা সাদের অনুসারীরা শুক্রবার ময়দানে ঢুকতে না পেরে তারা আশোপাশের মসজিদে জমায়েত হয়।
শনিবার ভোর থেকে সাদের শত শত অনুসারীরা ঢাকার দিক থেকে টঙ্গীর পথে রওনা হলে পরিস্থিতি বিমূখ হয়ে ওঠে। বিমানবন্দর সড়ক ও টঙ্গীর রাজপথসহ বিভিন্ন স্থানে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে বিমানবন্দর সড়কের এক দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজট সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাদ পন্থির তাবলিগ জামায়েতের এক ব্যক্তি জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে জুবায়ের পন্থির লোকজন দিনের পর দিন তারা মাঠ দখল করে রেখেছে মাঠে ঢুকতে দেয় না। জোড় ইজতেমায় যোগ দিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা ময়দানে যাওয়ার চেষ্টা করলে তারা বাধা দিতে আসে। মূলত এ কারণে রাস্তায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা বলেন, তারা বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতির জন্য কাজ করছে। সাদের পক্ষের লোকজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য সেখানে আসেন। বিমান বন্দর গোল চত্বরের উত্তর দিকে অবস্থান নিয়ে থাকা জুবায়েরের অনুসারীদের জটলার মধ্যে বাব উস সালাম মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী জানান, গতকাল শনিবার সকালে সাদের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। প্রথমে তারা ইজতেমা ময়দানের দিকে আসতে থাকে। আমাদের লোকজন তাদের মাঠে না যেতে অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তারা কোনো কথা না শুনে আমাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে আমাদের ১০-১২ জন লোক আহত হয়।
অন্যদিকে বরিশাল থেকে আসা সাদ সমর্থক শাহিন বলেন, আমরা সকাল বেলা জোড় ইজতেমায় যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। ঠিক এ সময় তারা আমাদের আটক করে। মাঠে যেতে দিচ্ছিল না। আমরা কোনো ধরনের হামলা করিনি। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। আমরা মাঠে যেতে চাই। উপমহাদেশে সুন্নী মতাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় সংঘ তাবলিগ জামাতের মূলকেন্দ্র ভারতের দিল্লিতে। মাওলানা সাদের দাদা ভারতের ইসলামি পন্ডিত ইলিয়াছ কান্ধলভি ১৯২০ এর দশকে তাবলিগ জামাত নামের এই সংস্কারবাদী আন্দোলনের সূচনা হয় বলে ইতিহাসে পাওয়া যায়।
শনিবার সকাল থেকে বিমানবন্দর সড়ক এলাকায় টঙ্গীর প্রবেশ মুখে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন দূর পাল্লার যানবাহন।
গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক একেএম কাওসার চৌধুরী জানান, মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা ইসমাইল মন্ডল নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। নিহত ইসমাইলের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গেছে। সকাল থেকে সংঘর্ষ হলে তা দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দুই পক্ষের শতাধিক লোক টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পূর্বে থেকেই তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দল চলে আসছিল। এ কারণে জানুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিত বিশ^ ইজতেমার প্রথম পর্ব স্থগিত করা হয়েছে। দেওবন্দপন্থিদের আবেদনের প্ররিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন গত শুক্রবার এক আদেশে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের আগে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।
দিল্লির মারকাজের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা এর মধ্যেই পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার ঘোষণা দিলে দেওবন্দপন্থি মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা দিন কয়েক আগে ইতজেমা মাঠ দখল করে পাহারা দেন। এ অবস্থায় মাওলানা সাদের অনুসারীরা শুক্রবার ময়দানে ঢুকতে না পেরে তারা আশোপাশের মসজিদে জমায়েত হয়।
শনিবার ভোর থেকে সাদের শত শত অনুসারীরা ঢাকার দিক থেকে টঙ্গীর পথে রওনা হলে পরিস্থিতি বিমূখ হয়ে ওঠে। বিমানবন্দর সড়ক ও টঙ্গীর রাজপথসহ বিভিন্ন স্থানে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে বিমানবন্দর সড়কের এক দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজট সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাদ পন্থির তাবলিগ জামায়েতের এক ব্যক্তি জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে জুবায়ের পন্থির লোকজন দিনের পর দিন তারা মাঠ দখল করে রেখেছে মাঠে ঢুকতে দেয় না। জোড় ইজতেমায় যোগ দিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা ময়দানে যাওয়ার চেষ্টা করলে তারা বাধা দিতে আসে। মূলত এ কারণে রাস্তায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা বলেন, তারা বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতির জন্য কাজ করছে। সাদের পক্ষের লোকজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য সেখানে আসেন। বিমান বন্দর গোল চত্বরের উত্তর দিকে অবস্থান নিয়ে থাকা জুবায়েরের অনুসারীদের জটলার মধ্যে বাব উস সালাম মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী জানান, গতকাল শনিবার সকালে সাদের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। প্রথমে তারা ইজতেমা ময়দানের দিকে আসতে থাকে। আমাদের লোকজন তাদের মাঠে না যেতে অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তারা কোনো কথা না শুনে আমাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে আমাদের ১০-১২ জন লোক আহত হয়।
অন্যদিকে বরিশাল থেকে আসা সাদ সমর্থক শাহিন বলেন, আমরা সকাল বেলা জোড় ইজতেমায় যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। ঠিক এ সময় তারা আমাদের আটক করে। মাঠে যেতে দিচ্ছিল না। আমরা কোনো ধরনের হামলা করিনি। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। আমরা মাঠে যেতে চাই। উপমহাদেশে সুন্নী মতাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় সংঘ তাবলিগ জামাতের মূলকেন্দ্র ভারতের দিল্লিতে। মাওলানা সাদের দাদা ভারতের ইসলামি পন্ডিত ইলিয়াছ কান্ধলভি ১৯২০ এর দশকে তাবলিগ জামাত নামের এই সংস্কারবাদী আন্দোলনের সূচনা হয় বলে ইতিহাসে পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment