বিজ্ঞপ্তি : বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, খুলনা মহানগর কমিটির সভাপতি এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-২ আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ১৭ ডিসেম্বর সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক গণসংযোগ, শুভেচ্ছা বিনিময় ও লিফলেট বিতরন করেন।
সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে কর্মসূচি শুরু করেন। এখান থেকে মাদ্রাসা রোড, আমীর আলী সড়ক, হাসান পাড়া, ডাক্তার পাড়া, সোনাডাঙ্গা বাইপাস রোড, করিমনগর মোড় এবং সকাল ১১টায় বড় বাজার, মহেন্দ্র দাস রোড, চাল পট্টি, মসল্লা পট্টি, কলা পট্টি, হেলাতলা মোড়, খানজাহান আলী হকার্স মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ করেন।
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও গুন্ডারা ধানের শীষের কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। সেই সাথে পুলিশ নানা ভাবে কর্মীদের হয়রানি করছে। পোস্টার ছিড়ে ফেলা, প্রচারনা ও লিফলেট বিতরনে বাঁধা প্রদান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট দিতে না যাওয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এ নির্বাচন বিএনপির নেতাকর্মীদের বাঁচামরার নির্বাচন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে কিনা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারামুক্ত হবেন কিনা, জনগনের ভোটের অধিকার ফিরে আসবে কিনা- তা নির্ধারণ হবে ৩০ ডিসেম্বরে। এই লড়াইয়ে মাঠ ছেড়ে দেয়ার কিংবা পরাজিত হওয়ার কোন সুযোগ আমাদের নেই।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা এ্যাড. আ ফ ম মহসিন, বিজেপি সভাপতি এ্যাড. লতিফুর রহমান লাবু, বিএনপি নেতা সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, জেপি সভাপতি মোস্তফা কামাল, খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা নাসিরউদ্দিন, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন সেন্টু, সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড. বজলুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, শফিকুল আলম তুহিন, আজিজুল হাসান দুলু, মুজিবর রহমান, জালু মিয়া, ইউসুফ হারুন মজনু, এশরামুল হক হেলাল, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, শরিফুল ইসলাম বাবু, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, রবিউল ইসলাম রবি, আবু সাঈদ শেখ, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, মেহেদী হাসান সোহাগ, কাজী মাহমুদ আলী, হাসনা হেনা, রিয়াজুর রহমান, এস এম মনির, মুন্নি জামান প্রমুখ।
॥ বিএনপি নেতা মিরাজকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ॥
বিজ্ঞপ্তি : ছাত্রলীগের সাবেক দুর্ধর্ষ ক্যাডারের নেতৃত্বে ধানের শীষের পোস্টার ছিড়ে ফেলতে বাঁধা দেয়া ও তর্কে লিপ্ত হওয়ার অপরাধে নগর বিএনপির সহ প্রকাশনা সম্পাদক হাসানুর রশিদ মিরাজকে চাঁদাবাজি, লুটপাট, নাশকতা ও মাদকের তিন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাকে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদনও করেছে পুলিশ। মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ আজ এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তিব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে মিরাজের নিঃশর্ত মুক্তি, সকল বানোয়াট মামলার কার্যক্রম স্থগিত এবং পুলিশের কতিপয় অতিউৎসাহী কর্মকর্তার ধানের শীষের কর্মীদের বেছে বেছে গ্রেফতার অভিযান বন্ধের জোর দাবি জানান।
বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১ টার দিকে ধানের শীষ প্রতীকের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর নিয়মিত কর্মী বিএনপি নেতা হাসানুর রশিদ মিরাজ সারা দিনের কাজ শেষে দারোগাপাড়াস্থ বাড়িতে ফিরছিলেন। এলাকায় প্রবেশ করতেই দেখেন ছাত্রলীগের সাবেক দুর্ধর্ষ ক্যাডার ও বহু অপরাধ কর্মের হোতা এ কে এম শামীম রচি তার বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে ধানের শীষের পোস্টার ছিড়ছে। মিরাজ এ ঘটনার জোর প্রতিবাদ করেন। স্থানীয় একটি দোকানের সামনেই ঘটনা ঘটছিল। দোকানদার কেন পোস্টার ছেড়ায় বাঁধা দেয়নি, তা জানতে চেয়ে মিরাজ তার সাথে তর্কে লিপ্ত হয়। এরপর মিরাজ বাড়ি ফিরে গেলে কিছু সময় পর একদল পুলিশ বাড়িতে প্রবেশ করে এবং মিরাজকে আটক করে গাড়িতে তোলে। তারা থানায় নেয়ার পথে সারা পথ মিরাজকে বেদম মারপিট করে। সেখানে যাওয়ার পর ওই দোকানদারকে জোরপূর্বক থানায় ডেকে এনে মিরাজের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, লুটপাট এবং পুলিশ বাদী হয়ে মাদকের মামলা দেয়। একই সাথে রাজনৈতিক নাশকতার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে চালান দেয়। পুলিশ তাকে তিনদিনের রিমান্ডের আবদেন করে। পুলিশ একই মামলায় ঘটনাস্থল থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থানরত ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলম হাওলাদার ও যুবদল নেতা আব্দুল্লা আল মামুনকে আসামী করে। মামলার পর থেকে ধানের শীষ প্রতীকের এই দুই কর্মীর বাড়িতে পুলিশ ও গোয়েন্দারা দফায় দফায় অভিযান চালাচ্ছে।
মহানগর বিএনপির নেতারা বিবৃতিতে অবিলম্বে মিরাজের নিঃশর্ত মুক্তি, সকল মামলা প্রত্যাহার এবং পুলিশের গ্রেফতারি অভিযান বন্ধের দাবি জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল আলম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, ইকবাল হোসেন খোকন, আসাদুজ্জামান মুরাদ প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment