নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন এলেই ধর্মকে ব্যবহার করার চেষ্ঠা করে রাজনৈতিক দলগুলো। তারা মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ ধর্মীয় উপসনালয়কে নির্বাচনী কর্মকান্ডে ব্যবহার করার চেষ্টা করে। প্রার্থীরাও ধর্মকে তার সুবিধা মত ব্যবহার করে থাকে। নির্বাচন এলে ভোটারদের সামনে নিয়ে আসা হয় ধর্মীয় কিছু কথা। এতে করে ভোটাররা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। আমরা চাই ভোটারা যেন নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তার ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনার ও সরকারকে করতে হবে। নির্বাচনের আগে ও পরে কোন প্রকার সহিংসতা না হয় তারজন্য এখন থেকেই প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সজাগ রাখতে হবে। এভাবে বললেন জনউদ্যোগ, খুলনার সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক নেতৃবৃন্দ।
শনিবার দুপুর ১২টায় নগরীর জনউদ্যোগ, খুলনার উদ্যোগে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার, ভোটারদের নিরাপত্তা ও সাম্প্রদায়িকতা নিষিদ্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নারীনেত্রী এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শীলু। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জনউদ্যোগ,খুলনার সদস্য সচিব একুশে টেলিভিশনের খুলনা প্রতিনিধি মহেন্দ্র নাথ সেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ আফম মহসিন, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা শ্যামল সিংহ রায়, নারীনেত্রী সুতপা বেদজ্ঞ, কনসেন্সের নির্বাহী পরিচালক সেলিম বুলবুল, পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, সেফের সমন্বয়কারী মো: আসাদুজ্জামান, দীপক কুমার দে প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দল-মত , জাতি- ধর্ম নির্বিশেষে সকলকেই এগিয়ে আসা প্রয়োজন। সরকারকে ও অনুরোধ করবো এ বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন এবং জাতিসংঘ ঘোষিত জাতীয়তা অথবা গোষ্টিগত, ধর্মীয় এবং ভাষাগত সংখ্যালঘুদের অধিকার বিষয়ক ঘোষণাপত্র, ১৯৯২ এর অনুচ্ছেদ ১ এর অনুসরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বক্তারা বলেন, দেশের সকল ধরনের নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন দায়িত্বপ্রাপ্ত। নির্বাচনকালীন - প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের পরামর্শ মোতাবেক কাজ করতে বাধ্য। একটি স্পর্শকাতর জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে ধর্ম ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহারের আশঙ্কা করছে সকল পক্ষ। সেক্ষেত্রে যথাযথ নির্দেশনা দিতে এবং উপযুক্ত নির্দেশনা (যদি থাকে) মনিটরিং ও কার্যকর করতে নির্বাচন কমিশন এখনও বিশেষ কোন উদ্যোগ নেয়নি।
লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত যতোগুলো হামলা হয়েছে তার একটিরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। দ্রুত বিচারে এ ধরনের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হলে তা ভবিষ্যৎ হামলা থেকে ঝুঁকিপূর্ণদের রক্ষা করে। তাই নির্বাচনে পূর্বে এবং পরের সহিংসতা রোধে এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

No comments:
Post a Comment