নিজস্ব প্রতিবেদক : তফসিল ঘোষণার পর পুলিশ ও জন প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে আসার কথা থাকলেও এখনও এসব প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগের নির্দেশে চলছে। সারা দেশের মতো আমার নির্বাচনী এলাকা রূপসা, দিঘলিয়া ও তেরখাদায় গায়েবী মামলায় পুলিশের গণগ্রেফতার অভিযান চলছে। এস কে সিনহার পরিণতি দেখে নির্বাচন কমিশনাররা নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনে আতংকিত। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে হাঁটছেনা বাংলাদেশ। মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা এবং হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হওয়ার একান্ত আবশ্যক।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল এ অভিমত প্রকাশ করেছেন। খুলনার রূপসার উপজেলার সন্তান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কৃতি ছাত্র, ছাত্রদলের সোনালী দিনের উজ্জল নক্ষত্র আজিজুল বারী হেলাল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৪ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করতে চান। এ লক্ষ্যে তিনি দলের কাছে আবেদন করেছেন এবং গত ১৯ নভেম্বর বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মনোনয়ন বোর্ডের সামনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এর আগে ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারীর নবম জাতীয় নির্বাচনে তিনি এই আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে ওয়ান-ইলেভেনের সরকার ক্ষমতা দখল করায় সে নির্বাচন বানচাল হয়ে যায়।
আজিজুল বারী হেলাল বলেন, অবৈধ অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলন করছে। এ নির্বাচনে বিজয় মানেই খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু করতে ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে ঐক্যফ্রন্ট ৮ দফা দিয়েছে, কিন্ত সরকার এক দফাও মানেনি। একদিকে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে দেশনেত্রী অন্ধকার কারপ্রকোষ্ঠে আটকে আছেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার সময় পুলিশের উস্কানিমূলক আচরণ, লাঠিচার্জ, গুলি, টিয়ারসেল নিক্ষেপের কারনে অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হওয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, যখন ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়লো, জনজীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি হলো, তখন কিন্ত পুলিশ কোন ভূমিকা নেয়নি।
আজিজুল বারী হেলালের অভিযোগ, শুধু পুলিশই নয়, রাষ্ট্রীয় নানা গোয়েন্দা সংস্থা থেকে ভোটের কাজে নিয়োজিত প্রিজাউডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের কাছে ফোন করে তাদের ও পরিবারের সদস্যদের রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে খোজখবর নেয়া হচ্ছে। তাদেরকে সরাসরি নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য হুমকি দেয়া হচ্ছে। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে চাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরনবিধি লংঘন করে চলেছে। সিনেমার নামে শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত বিশাল বিশাল পোস্টারে সারা দেশ ছেয়ে ফেলা হয়েছে। অন্য দিকে হামলা, মামলা ও কারা নির্যাতনের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীরা এখনও ঘর বাড়িতে ফিরতে পারছেনা। তারেক রহমানকে এই সরকার এতোটাই ভয় পায় যে সোশ্যাল মিডিয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়ে বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ বাঁধাগ্রস্থ করা হয়েছে। তার অভিযোগ, ওয়ান-ইলেভেনের সরকার খালেদা জিয়ার পাশাপাশি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও মামলা করেছিল। সেই মামলায় খালেদা জিয়া আজ কারাগারে। আর ক্ষমতা প্রয়োগ করে হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে। দন্ডপ্রাপ্ত মায়া মন্ত্রী, নাজমুল হুদা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে মেরেুদন্ড সোজা করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, অন্যথায় জাতি আপনাদের ক্ষমা করবেনা।
No comments:
Post a Comment