নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনার ৬টি আসনেই আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত করেছে। এদের মধ্যে দু’জন প্রার্থী এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। যার মধ্যে একজন রয়েছেন শেখ পরিবারের সদস্য। অপরদিকে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন দুইজন সংসদ সদস্য। এমপি থাকাকালীন সময়ে নানারকম বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগের কারণে তাদের নির্বাচনের বাইরে রাখা হচ্ছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। মহাজোটের শরিকদল জাতীয় পার্টি খুলনা থেকে ২টি আসন দাবি করলেও তাদের দেওয়া হয়নি কোন আসন। ফলে ৬টি আসনেই নৌকার প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস। যিনি ২০১৪ সালের আগে ২০০১ সালেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার আগে ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেড়ে দেওয়া আসনে উপ-নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন। খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। যিনি এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। রাজনীতিতে তিনি নতুন হলেও খুলনাঞ্চলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া তার বড় ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন এ অঞ্চলের আওয়ামী রাজনীতির অন্যতম নীতি-নির্ধারক। শেখ জুয়েলকে মনোনয়ন দেওয়ায় এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন শ্রমিক নেত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। তিনি ইতোপূর্বে বর্তমান সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। খুলনা-৪ (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক তারকা ফুটবলার ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যুর পর উপ-নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি বিজয়ী হন। এবারের নির্বাচনেও দল তার উপর আস্থা রেখেছে। খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসন থেকে নৌকা প্রতিক নিয়ে আবারও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও পরে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সালাহউদ্দিন ইউসুফের মৃত্যুর পর ২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজিত হলেও ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। খুলনা-৬ (কয়রা ও পাইকগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতারুজ্জামান বাবু। যেটি খুলনায় প্রার্থী মনোনয়নে সবচেয়ে বড় চমক। জানা গেছে, বিতর্কিতমূলক নানা কর্মকান্ডের কারণে বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাড. শেখ নুরুল হককে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
No comments:
Post a Comment