Channel Atv

সময়ের সাথে এগিয়ে চলে সাহসের সাথে কথা বলে

আসুন নিজেকে বদলায়। প্রতিদিন একটি ভালো কাজ করি। সুন্দর জীবন ও সমাজ গড়ি। নতুন সকাল

Breaking

Sunday, November 4, 2018

‘খালেদার মুক্তি চাইলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপি আলোচনা করুক’

ঢাকা অফিস : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি চাইলে বিএনপির নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। আলোচনার পথ খোলা রয়েছে। রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার। তবে তার প্যারোলে মুক্তি চাইলে তা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। জামিনে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি আদালতের, সে এখতিয়ার সরকারের নয়। তিনি আরো বলেন, এর আগে প্রায় ৩০ মামলায় বেগম জিয়া জামিন পেয়েছেন। আর যে মামলায় রায় হয়েছে সে মামলা আমরা করিনি, রায়ও আমরা দেইনি। তাই রায়ের বিষয়ে তারা আইনিভাবে আদালতে এগুতে পারে। এটা পুরোটাই আদালতের বিষয়।

আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আবারো সীমিত পরিসরে সংলাপ করা যেতে পারে, জানিয়ে মন্ত্রী  বলেন, আলোচনার পরিবেশটা ছিল সৌহার্দ্যপূর্ণ। খোলামেলা পরিবেশে তারা কথা বলেছেন। যে যেটা বলতে চেয়েছেন তা তারা অবাধে বলেছেন। এমনকি তাদের কথা সংক্ষেপ করতেও বলা হয়নি। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা একেবারে স্বাধীনভাবে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। তারা যদি আবারও বসতে চায়, আমরা আবারো চেষ্টা করব।

সংলাপের মাধ্যমে বরফ গলতে শুরু করেছে, জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, একসঙ্গে বসলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আবারো ছোট পরিসরে বসাই যায়। তবে সময় বেশি নেওয়া ঠিক হবে না। ৭ তারিখের পর সংলাপ হবে কি না তা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন।

সংলাপ ও আন্দোলন এক সাথে চলতে পারে না, মন্তব্য করে তিনি বলেন,  নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনসভা করতে তো কারো কোন বাধা নেই। তবে সংলাপ এবং আন্দোলন একসঙ্গে চলতে পারে না।

সংলাপের মাধ্যমে দূরত্ব কমেছে বলে মনে করেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেখুন, আলাপ-আলোচনার একটি ভালো দিক আছে। সামনাসামনি বসে দেখাদেখি তো হলো, চোখাচোখি হলো। এটাও তো একসময় ছিল না। সেটা তো হলো। আর পরিবেশটা ছিল সৌহাদ্যপূর্ণ এবং খোলামেলা। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের কথা বলার সময় হস্তক্ষেপ করা হয়নি। কাউকে থামিয়ে দেওয়া হয়নি। একেবারে স্বাধীনভাবে সেদিন ঐক্যফন্টের নেতারা কথা বলেছেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here

আজকের ভোরের ডাক পড়ুন এখানে