ঢাকা অফিস : কোনো পক্ষ আপিল করলেও ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে মৃত্যুদণ্ডের মামলা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে পাঠানো হয় অনুমোদনের জন্য। সে অনুসারে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার সমস্ত প্রসিডিংস ও হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারিক আদালত।
তবে আসামিপক্ষ রায়ের পরে আপিলের ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষও বলছে রায় খতিয়ে দেখে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী কিংবা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের বিরুদ্ধে আপিল করা যায় কি-না তা ভেবে দেখবেন।
এদিকে হাইকোর্টে মামলাটি এলে আদালতের প্রয়োজনীয় কাজ শেষে দ্রুত শুনানিতে পদক্ষেপ নেওয়ারও কথা বলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
গত ১০ অক্টোবর (বুধবার) বর্বরোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার দায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে অপর ১১ আসামিকে।
রায়ে আদালত বলেছেন, মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিগণ ইচ্ছা করলে অত্র রায়ের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন -২০০২ এর ১৪ ধারা অনুসারে হাইকোর্ট ডিভিশনে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল দায়ের করতে পারবেন। ...অত্র মোকাদ্দমার সমস্ত প্রসিডিংস ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে প্রেরণ করা হোক।
এ রায় ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সমিতির সভাপতি জয়নুল অবেদীন বলেন, ‘এ মামলায় তারেক রহমান ন্যায়বিচার পাননি। এমনকি যাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তারাও ন্যায়বিচার পাননি। এই মামলায় সাজা দেওয়ার মতো কোনো ইনগ্রেডিয়েন্ট (উপাদান) নাই। …এই সাজা দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে।’
No comments:
Post a Comment