ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে : প্রথমে সৌম্য সরকার, পরে ইমরুল কায়েস। জোড়া সেঞ্চুরির স্বাদ পেল বাংলাদেশ। তাতেই ওলট-পালট রেকর্ড বুক। জোড়া সেঞ্চুরিতে ভাস্বর দুই বাঁহাতি।
দলীয় শূন্য রানে ইমরুলের বিদায়ে দুই ওপেনারের শুরুটা একই বিন্দু থেকে। ঝড় তুলে ইমরুল প্রথমে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। অপরপ্রান্তে সৌম্য বাহবা দিয়েছিলেন। খানিকবাদে সৌম্য তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। চোখের পলকে পৌঁছে যান তিন অঙ্কে। ব্যাট হাতে মুগ্ধতা ছড়ানো ইনিংস সেখানেই থেমে থাকেনি। ১১৭ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৯২ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায়। এক ইনিংসে সবথেকে বেশি ছক্কার রেকর্ড রয়েছে তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারের। আজও সৌম্য ৬ ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
সঙ্গী হারানোর পর ইমরুল তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি, চলতি সিরিজের দ্বিতীয়। ইস! দ্বিতীয় ম্যাচে কতো বড় ভুলটাই না করেছিলেন ইমরুল। ৯০ রানে ফিরেছিলেন সাজঘরে। দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি পেলে বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা তিন ইনিংসে তিন সেঞ্চুরির রেকর্ড হতো। না হওয়ায় খানিকটা আক্ষেপ থাকতেই পারে ইমরুলের।
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর এক ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরির স্বাদ পেল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ হাঁকিয়েছিলেন সেঞ্চুরি। ২০১৫ সালে এ কীর্তি গড়েছিলেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।
লিটন সাজঘরে ফেরার পর ২২০ রানের জুটি গড়েন ইমরুল ও সৌম্য। দ্বিতীয় উইকেটে যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে যা বাংলাদেশের রেকর্ড। কিছুদিন আগেই সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল দ্বিতীয় উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০৭ রান করেছিলেন। মাত্র ৫ রানের জন্য যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড মিস করেন দুই বাঁহাতি। জোড়া সেঞ্চুরির ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব ২২৪ রান করেছিলেন।
এক সিরিজে জোড়া সেঞ্চুরি তুলে তামিম ও মাহমুদউল্লাহর পাশে নাম লিখিয়েছেন ইমরুল। মাহমুদউল্লাহ ২০১৫ বিশ্বকাপে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। তামিম ইকবাল ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে, ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।
দ্বিপক্ষীয় সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সবথেকে বেশি রানের মালিক এখন ইমরুল। শীর্ষে উঠতে ইমরুল ছাড়িয়ে গেছেন তামিম ইকবালকে। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ সেঞ্চুরি আর এক হাফ সেঞ্চুরিতে তামিম করেছিলেন ৩১২ রান। ইমরুলের রান এখন ৩৪৪।
No comments:
Post a Comment