Channel Atv

সময়ের সাথে এগিয়ে চলে সাহসের সাথে কথা বলে

আসুন নিজেকে বদলায়। প্রতিদিন একটি ভালো কাজ করি। সুন্দর জীবন ও সমাজ গড়ি। নতুন সকাল

Breaking

Saturday, January 12, 2019

রূপসায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে

নিজস্ব প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন সচিবের ঘোষণার পর থেকেই রূপসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন একাধীক প্রার্থী। উপজেলা এলাকায় পোস্টারের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে সমর্থনকারীদের প্রচার-প্রচারণা। অনেকেই তাদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়াম্যান প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন ও দোয়া চাচ্ছেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন চায়ের দোকানের আড্ডায় উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মুখে শুরু হয়েছে আলাপ-আলোচনা। এতে আ’লীগ অনেকটা সরব হয়ে উঠলেও চুপচাপ রয়েছে বিএনপি।
ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা জেলাসহ কেন্দ্রে লবিং গ্রুপিং শুরু করে দিয়েছেন। একই সাথে শুরু করেছেন দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময়। নিজেকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে অনেকে গণসংযোগও শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত রূপসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রায় এক ডজন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে বিএনপি, জামায়াত বা অন্য কোন দলের প্রার্থীদের নাম শোনা যায়নি।

আওয়ামী লীগ থেকে রূপসা উপজলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা, সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর শেখ, জেলা আওয়ামীলীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুজিত অধিকারী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার আবুল কাসেম ডাবলু, বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ সরদার ফেরদাউস রহমান, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও আইচগাতি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল, টিএসবি ইউপি চেয়াম্যান মো. জাহাঙ্গির শেখ, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, নৈহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ও খুলনা জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি আজিজুল হক কাজল।

মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা বলেন, র্দীঘদিন আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত আছি। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, কয়েকবার ঘাটভোগ ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বচিত হয়েছি। উপজেলার মানুষ আমাকে ভালবেসে ভোট দিয়ে ২০০৯ সালে নির্বাচিত করেছে। জনগনের ভালবাসায় এখনও আছি, ভবিষ্যতে থাকব। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবো।

জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) এ্যাড.সুজিত অধিকারী  ছাত্র রাজনীতি থেকে আজ জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। দলের দু-সময় নেতাকর্মীদের পাশ্বে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে দলকে সু-সংগঠিত করেছেন। উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। দলীয় মনোনয়ন পেলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর শেখ বলেন, উপজেলা আ’লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের আহ্বানে আমি ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছিলাম। আশা করি দলীয় নেতা কর্মীর ও জনগণের সমর্থনের কারণে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ দিবেন।

জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও আইচগাতি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলাম। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৯ জেলা কৃষকলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি। দলের দূর্দিনে রাজপথে ছিলাম এখনও আছি এবং যত দিন বেঁচে থাকব দলের জন্য কাজ করে যাবো। তাই দল আমাকে সকল কাজের মূল্যায়ন করে মনোনয়ন দিবে বলে আশাবাদি।

উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার আবুল কাসেম ডাবলু ১৯৮৪ সাল থেকে আ’লীগের সাথে রাজনীতি করে আসছেন। তিনি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছে। তিনি দাবি করেন, দলের জন্য আমার পরিবারের অনেককেই হারিয়েছি। দলের নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আমি আশাবাদি দল আমাকে মনোনয় দিবে।

নৈহাটী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল বলেন, জনগনের অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও সমর্থনের বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম। চেয়ারম্যান থাকাকালে পাঁচ বছরে নৈহাটী ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। তাছাড়া আমি আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে আওয়ামীলীগ রাজনীতি করে আসছি। দলের  দূর্দিনে সব সময় রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করার পাশাপাশি দলকে সু-সংগঠিত করতে সকল প্রকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সে ক্ষেত্রে সার্বিক বিবেচনায় দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আশা করি।

টিএসবি ইউনিয়নের সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গির শেখ বলেন, নির্বাচনে অংশ গ্রহণের লক্ষে ইতিমধ্যে গণসংযোগ শুরু করেছি। আমি সুনামের সাথে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। জনগনের সাথে মিলে মিশে আছি। সবাইকে নিয়ে উপজেলার উন্নয়ন করতে চাই। দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার হাতে হাত রেখে সুখি-সমৃদ্ধ উপজেলা গড়ে তুলবো।

খুলনা জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি আজিজুল হক কাজল বলেন, ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতি করে আসছি। ব্যাক্তি স্বার্থের উর্ধে থেকে দলীয় স্বার্থে সব সময় কাজ করেছি। গত নির্বাচনেও দলীয় ব্যানারে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করি। সে ক্ষেত্রে দলীয় মনোনয়ন আমাকে দেয়া হবে বলে আমি আশাবাদী।
এছাড়াও উপজেলা পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলের বেশ কয়েকজন সম্ভব্য প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here

আজকের ভোরের ডাক পড়ুন এখানে