Channel Atv

সময়ের সাথে এগিয়ে চলে সাহসের সাথে কথা বলে

আসুন নিজেকে বদলায়। প্রতিদিন একটি ভালো কাজ করি। সুন্দর জীবন ও সমাজ গড়ি। নতুন সকাল

Breaking

Saturday, January 12, 2019

খুলনার বটিয়াঘাটায় চার হত্যা মামলার আসামী ভারতে গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আড়–য়াডাঙ্গায় চারজনকে হত্যা করে মাটির নীচে পুঁতে রেখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আসামী গুজরাট প্রদেশের আহমেদাবাদ থেকে গ্রেফতার হয়েছে। আহমেদাবাদ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ আসামী আজম ফকির (৬০) ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুনকে (৫০) ৮ দিনের রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। খুলনা জেলা সিআইডি ইনসপেক্টর ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার হোসেন, সিআইডি ইনসপেক্টর মো: শাহজাহান এবং বটিয়াঘাটা থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সেকেন্দার আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তারা বলেন, বালিয়াডাঙ্গা থেকে ডুমুরিয়ার ইমরান হোসেন খান (২২), দাকোপের কামারখোলা গ্রামের মোস্তফা গাজী (৫০) ও পাইকগাছার গড়াইখালী গ্রামের রহিম গাজীর (৩৪) কঙ্কাল উদ্ধার হয়। বিষয়টি নিয়ে ইমরান খানের পিতা আসাদুজ্জামান খান গত ১৯/১০/১৬ তারিখ বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন। ইমরান খানের মা রহিমা খাতুন পালিয়ে এসে বাবার বাড়ি বসবাস কালে আযম ফকিরের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করে। সে সূত্র ধরে রহিমা খাতুন আটক হলে তার দেয়া তথ্য মতে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে আযম ফকিরের বাড়ির পিছনের বাগান থেকে মাটি খুড়ে তিন কঙ্কাল উদ্ধার হয়। এসময় আযম পালিয়ে গুজরাট চলে যায়। রহিমা আদালত থেকে জামিন নিয়ে সেও পালিয়ে চলে যায় গুজরাটে। একই এলাকায় পূর্ব থেকে বসবাসকারী বালিয়াডাঙ্গার আকবর হোসেন আহমেদাবাদ পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের সোর্স হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিল। আকবরের সহায়তায় আসামী আযম ও রহিমা এগার দিন আগে গ্রেফতার হয়। তাদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতীয় হাইকমিশনে যাবতীয় কাগজ পত্র জমা দেয়া হয়েছে। সিআইডি পুলিশের ধারণা একই বাগানে দাকোপের কামারখোলা গ্রামের বলাই কুমারের (৩২) কঙ্কাল থাকাতে পারে। কারণ আযম গ্রেফতার হওয়ার পর স্বীকার করেছে তার বাড়ির পিছনে বাগানে ৪ জনের লাশ পুতে রাখা হয়। 
আযম ফকিরের নিকট বিভিন্ন সময়ে বিদেশী লোকজন এবং স্থানীয় সহযোগীদের যাতায়াত ছিল। আযম ফকির স্বীকার করেছে বিভিন্ন কৌশলে তাদের ডেকে বাড়িতে এনে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিত। পরে তার দলের অন্যান্যদের সহায়তায় হত্যার পর কিডনি, চোখসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কেটে পাচার করত এবং লাশ মাটি চাপা দিয়ে রাখত।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here

আজকের ভোরের ডাক পড়ুন এখানে