৬টি ইউনিয়ন নিয়ে তেরখাদা উপজেলা পরিষদ গঠিত। বিগত ২০০৯ সালের নির্বাচনে বিশিষ্ট আইনজীবী আহম্মাদউল্লাহ পিলুকে পরাজিত করে মো. সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে হন। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপির জোট থেকে এস এম মেজবাউল আলমকে পরাজিত করে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মো. সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু আবারও উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এদিকে সম্ভব্য আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় প্রার্থীরা দলের হাই কমান্ডের সাথে যোগাযোগ, বিভিন্ন তদবির, লবিং-গ্রুপিংসহ নানা কৌশল অবলম্বন করছে বলে জানা গেছে। আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ৩ জন প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও বিএনপি বা অন্য দলের প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। আওয়ামীলীগ থেকে সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, জেলা আওয়ামীলীগের উপ প্রচার সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড মোস্তাফিজুর রহমান কালু। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু বলেন, আওয়ামীলীগসহ সহযোগি সংগঠনের ৯০ ভাগ নেতা কর্মী ও ৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমার পক্ষে অবস্থান করছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির হাত ধরেই আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু। পর পর দুই বার তেরখাদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের নেতা হিসেবে দীর্ঘকাল যাবৎ এ এলাকার নেতা কর্মীসহ সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নিয়েছি। আমি মনে করি দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আবারও বিজয় সুনিশ্চিত হবে। জেলা আওয়ামীলীগের উপ প্রচার সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য ইতোমধ্যেই আমি প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নিজে কোন সিদ্ধান্ত নিব না। মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীদের আস্থাভাজন এবং দলের কাছেও বিশ্বস্ত এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে, সে ক্ষেত্রে আমি মনোনয়ন পাবো বলে শতভাগ আশাবাদি। জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান কালু বলেন, তেরখাদা উপজেলার মানুষের কাছে তিনি জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী সহ দলমত নির্বিশেষে সুখে দুখে এ এলাকার মানুষের পাশে রয়েছি, দল আমার বিগত দিনের কর্মকান্ড বিবেচনা করে দলীয় প্রতীক নৌকা প্রতীক পাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এফ এম হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যে অবস্থায় চলছে, এখনও বিএনপির হাই কমান্ড এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধন্ত হয়নি, সিদ্ধান্ত হলে বলা যাবে কে হবেন প্রার্থী। সব মিলিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামীলীগের প্রার্থী সহ সর্বোত্র চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।
Sunday, January 6, 2019
তেরখাদায় বইছে উপজেলা নির্বাচনী হাওয়া
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post Top Ad
Responsive Ads Here
No comments:
Post a Comment