নিজস্ব প্রতিবেদক : নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সোমবার রূপসায় শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন ও বীর বিক্রম মহিবুল্লাহ’র ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তিতুমির এর কমোডোর কমান্ডিং এর নেতৃত্বে শহীদদ্বয়ের মাজারে সশস্ত্র সালাম, পুস্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে রূপসা প্রেসক্লাবের পক্ষে সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম তোতা, সাবেক সভাপতি এস এম মাহবুবুর রহমান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ আজিম ও নির্বাহী সদস্য তৌহিদুল ইসলাম কচি পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের কনিষ্ঠ কণ্যা ফাতেমা বেগম, নাতনী সুমাইয় ও রাইয়ান। পরে বিকেলে ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া এবং সন্ধ্যায় দুই বীর শহীদের স্মরণে ১৬ দলীয় ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দীন বাদশা। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ছাদেকুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ যোবায়ের, রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম, নৈহাটী ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুল। ক্লাবের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম তোতার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ডালিম, সাবেক সভাপতি এস এম মাহবুবুর রহমান, তরুণ চক্রবর্তী বিষ্ণু, সাইফুল ইসলাম বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভোলানাথ রায়, কৃষ্ণ গোপাল সেন, খান মিজানুর রহমান, হুসাইন আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, আল মাহমুদ প্রিন্স, এম এ আজিম, তৌহিদুল ইসলাম কচি, অলিদ শেখ, হামিদুল হক, আব্দুল জব্বার শিবলি, কর্ণপুর যুব সংঘের আব্দুল মান্নান, আশরাফ আলী রাজ, মনিরুল আসলাম, আব্দুল কাদের প্রমূখ।
১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রুমুক্ত করতে তিনটি রণতরিসহ খুলনা অভিমুখে যাত্রাকালে শিপইয়ার্ডের অদুরে মিত্রবাহিনীর বোমা হামলায় স্বাধীন বাংলার এ দুই সূর্য সন্তান শহীদ হন। পরে তাদের রূপসা নদীর পূর্ব পাড়ে সমাহিত করা হয়। দেশ স্বাধীনের পর রুহুল আমীনকে বীরশ্রেষ্ঠ ও মহিবুল্লাহকে বীরবিক্রম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমীনের পিতার নাম আজাহার আলী মিয়া। বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের বাগচাঁপড়া গ্রামে। তিনি ১৯৫৩ সালে নৌ বাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১৯৭১ সালে ৯ নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। শহীদ বীর বিক্রম মহিবুল্লাহ’র পিতার নাম মো. সুজা আলী। বাড়ি চাঁদপুরের শাহেদপুর গ্রামে। তিনি ১৯৬২ সালে নৌবাহিনীতে যোগদান করেন এবং একই সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। তার জন্ম ১৯৪৪ সালের ৩১ আগষ্ট।

No comments:
Post a Comment