এস এম মাহবুবুর রহমান : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুলনার ৬টি আসন এলাকার হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট, পাড়া-মহল্লা ও চায়ের দোকান এখন সরগরম। সব জায়গায় বিরাজ করছে উৎসবমূখর পরিবেশ। সবার মুখে একই আলোচনা। এবারের নির্বাচন কেমন হবে। আর নির্বাচিতই বা কে হবেন। যোগ্য প্রার্থী যাচাই-বাছাইও থেমে নেই। তবে এবারের নির্বাচনে প্রার্থীর চেয়ে প্রতীকের ওপর গুরুত্ব বেশি দিচ্ছেন ভোটাররা। এদিকে খুলনার ৬টি আসনই ধরে রাখতে ব্যাপকভাবে প্রচারনা চালাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ। আর পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিএনপি। তবে ৬টি আসনের ৪টিতে দলীয় প্রার্থী দিলেও দু’টি আসনে শরীক দল জামায়াতকে ছাড় দিয়েছে বিএনপি। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে নির্বাচনে অবলম্বন করছে নানা কৌশল।
প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মিরা সব থেকে বেশি জোর দিচ্ছে খুলনা-২ ও খুলনা-৪ আসনে। বিএনপি’র ঘাটি হিসেবে খ্যাত খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনে পূর্বের প্রার্থীকে বাদ দিয়ে নতুন প্রার্থী হিসবে দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দীন জুয়েলেকে। এ আসনে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসেবে রয়েছে দীর্ঘ দিনের রাজপথের সৈনিক সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। সাধারণ মানুষের কাছে যার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। আর রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া নিয়ে গঠিত খুলনা-৪ আসনে লড়ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দের প্রার্থী তারকা ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদী। এ আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল। এ কারণে এ দুই আসনে বিজয় নিয়ে শংকিত উভয়দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মত আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে খুলনা-২ আসনে শেখ সালাহউদ্দীন জুয়েল ও খুলনা-৬ আসনে আকতারুজ্জামান বাবু এবং বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে খুলনা-৩ আসনে রকিবুল ইসলাম বকুল ও খুলনা-৪ আসনে আজিজুল বারী হেলাল সংসদ প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও তাদের কর্মি সমর্থকরা দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ীসহ আবারো রাস্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্যে গত ১০ বছরে সরকারের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন তুলে ধরছেন। এরমধ্যে রয়েছে বিদেশী সহযোগীতা ছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, খুলনার আধুনিক রেল স্টেশন, শেখ রাসেল ইকোপার্ক, রূপসা নদীতে রেলসেতু নির্মাণ, মংলা বন্দরকে সচল করা, সন্ত্রাস ও জঙ্গি নির্মুল এবং মাদকের অপব্যবহার রোধসহ চলমান উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড।
অপরদিকে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী এবং দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকরা এবার অস্তিত্বের লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন। তারা আওয়ামীলীগ সরকারের ব্যর্থতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র হরণ করা, এককভাবে ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি’র চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্র মামলায় কারাগারে আটক রাখা, গায়েবী মামলা দায়েরসহ বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরার পাশাপাশি নতুন নতুন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটারদের।
পাশাপশি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির দাবিতে বিএনপি বার বার নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মরকলিপি প্রেরণ, প্রেসব্রিফিং ও সংবাদ সম্মেলন করে চলেছে। খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, জেলার সবকটি নির্বাচনী এলাকায় শাসক দল আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ধানের শীষের কর্মীদের ওপর হামলা, নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, মারপিট, নির্যাতন, টেন্ট পুড়িয়ে দেয়া, প্রচারনা ও লিফলেট বিতরনে বাঁধাদান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে চলেছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরন ও বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দায়ের অব্যাহত রয়েছে। তিনি পুলিশ-প্রশাসনের একচোখা নীতি পরিহার করে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান তিনি।
প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মিরা সব থেকে বেশি জোর দিচ্ছে খুলনা-২ ও খুলনা-৪ আসনে। বিএনপি’র ঘাটি হিসেবে খ্যাত খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনে পূর্বের প্রার্থীকে বাদ দিয়ে নতুন প্রার্থী হিসবে দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দীন জুয়েলেকে। এ আসনে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসেবে রয়েছে দীর্ঘ দিনের রাজপথের সৈনিক সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। সাধারণ মানুষের কাছে যার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। আর রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া নিয়ে গঠিত খুলনা-৪ আসনে লড়ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দের প্রার্থী তারকা ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদী। এ আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল। এ কারণে এ দুই আসনে বিজয় নিয়ে শংকিত উভয়দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মত আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে খুলনা-২ আসনে শেখ সালাহউদ্দীন জুয়েল ও খুলনা-৬ আসনে আকতারুজ্জামান বাবু এবং বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে খুলনা-৩ আসনে রকিবুল ইসলাম বকুল ও খুলনা-৪ আসনে আজিজুল বারী হেলাল সংসদ প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও তাদের কর্মি সমর্থকরা দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ীসহ আবারো রাস্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্যে গত ১০ বছরে সরকারের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন তুলে ধরছেন। এরমধ্যে রয়েছে বিদেশী সহযোগীতা ছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, খুলনার আধুনিক রেল স্টেশন, শেখ রাসেল ইকোপার্ক, রূপসা নদীতে রেলসেতু নির্মাণ, মংলা বন্দরকে সচল করা, সন্ত্রাস ও জঙ্গি নির্মুল এবং মাদকের অপব্যবহার রোধসহ চলমান উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড।
অপরদিকে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী এবং দলীয় নেতাকর্মী-সমর্থকরা এবার অস্তিত্বের লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন। তারা আওয়ামীলীগ সরকারের ব্যর্থতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র হরণ করা, এককভাবে ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি’র চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্র মামলায় কারাগারে আটক রাখা, গায়েবী মামলা দায়েরসহ বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরার পাশাপাশি নতুন নতুন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটারদের।
পাশাপশি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির দাবিতে বিএনপি বার বার নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মরকলিপি প্রেরণ, প্রেসব্রিফিং ও সংবাদ সম্মেলন করে চলেছে। খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, জেলার সবকটি নির্বাচনী এলাকায় শাসক দল আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ধানের শীষের কর্মীদের ওপর হামলা, নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, মারপিট, নির্যাতন, টেন্ট পুড়িয়ে দেয়া, প্রচারনা ও লিফলেট বিতরনে বাঁধাদান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে চলেছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরন ও বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দায়ের অব্যাহত রয়েছে। তিনি পুলিশ-প্রশাসনের একচোখা নীতি পরিহার করে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment