নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানবাধিকার সংগঠণ অধিকার খুলনা ইউনিটের পক্ষ থেকে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, দেশে চরম ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘণের ঘটনা ঘটছে, যে কারণে গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে। গণতন্ত্রের স্বাভাবিক গতি রুদ্ধ হয়ে গেছে। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট করা হয়েছে। ভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ডে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে।
এ অবস্থা চলতে থাকলে নাগরিকদের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার সাথে সাথে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বও হুমকির সম্মুখিন হওয়ার আশংকা রয়েছে। এ কারণে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সোমবার বেলা ১১টায় প্রেস ক্লাব খুলনায় অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনের ফোকাল পার্সন মুহাম্মদ নূরুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন। বক্তৃতা করেন মানবাধিকার সংগঠক সেখ আব্দুল হালিম। উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক হারুণ-অর-রশীদ, হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার এমএ আজিম, মো. আহাদ আলী, হারুন অর রশিদ মাসুম, শফিকুল ইসলাম শাহীন, জি.এম রাসেল ইসলাম, মো. সালু, রিপন হোসেন, সাহাবুদ্দীন মন্টু, সাহিদ আলম, মো. মাসুম, শেখ রাজু, আইয়ূব খান, মো. আশরাফ আলী, এসএম শামীমুর আলম, মেজবাউজ্জামান, মো. আলমগীর, মো. আবু জাফর প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা এবং সংঘাত ও সহিংসতা এড়াতে প্রশাসনকে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা থেকে বিরত থেকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। একই সঙ্গে গুম, খুন, নির্যাতন বন্ধ করে দেশের সকল মানবাধিকার লঙ্ঘণের ঘটনার বিচার করতে হবে।
উল্লেখ্য, মানবাধিকার সংগঠন অধিকার ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে মানবাধিকার রক্ষার লক্ষ্যে নিয়োজিত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অধিকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-, নির্যাতন, গুম, রাজনৈতিক সহিংসতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের ওপর হামলা, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশী নাগরিকদের উপর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ’র নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ এবং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধের জন্য কাজ করছে।

No comments:
Post a Comment