লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, কাটেংগা বাজারের স্থানীয় ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা ভুট্ট টাকা উত্তোলন করতে আসলে ঘন্টার পর দাঁড়িয়ে থেকেও টাকা তুলতে ব্যর্থ হন। পরে তিনি শাখা ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুর রহমানকে বললে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “আমাদের কর্মকান্ড এরকমই চলবে, পারলে আসবেন, না পারলে আসার দরকার নেই”। কাটেংগা গ্রামের মাসুদ রানা পে-অর্ডার করতে ব্যাংকে এসে এ টেবিল ও টেবিল ঘুরতে ঘুরতে ৩ ঘন্টা পর স্টাফরা ম্যানেজারের কাছে পাঠায়। ম্যানেজার তখন বলেন ৩ ঘন্টা সময় লাগবে। তখন মাসুদ রানা বলেন, স্যার আমি তো ৩ ঘন্টা দাড়িয়ে আছি। তখন ব্যবস্থাপক তার সঙ্গে দুর্ব্যাবহার করে এবং পরবর্তীতে পে-অর্ডার করতে হলে অগ্রণী ব্যাংকে যাওয়ার কথা বলেন।
সোনালী ব্যাংক তেরখাদা শাখার আওতায় সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা বেসরকারি সংস্থা জনসাধারনের লেনদেন, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ৪০ দিনের কর্মসূচিসহ বিভিন্ন লেনদেন, পে-অর্ডার, ট্রেজারি চালানসহ বিভিন্ন কাজে আসা লোকজন প্রতিনিয়ত চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে। টাকা উত্তোলন করার সময় তারা গ্রাহকদের সাথে প্রচন্ড দুর্ব্যবহার করে থাকেন। ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ৯ টার সময় কার্যক্রম শুরু করার কথা থাকলেও তারা ব্যাংকে আসে সাড়ে ১০টার পরে। কোন কোন দিন ম্যানেজারকে ১১ টার পরও খুঁজে পাওয়া যায় না। ফলে তার আসার অপেক্ষায় সকাল থেকে বসে থাকতে হয় গ্রাহকদের। দুপুর ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত বিরতি থাকলেও আড়াইটার আগে কোন স্টাফ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করে না, আবার ৩টা বাজার সাথে সাথে সকল লেনদেন বন্ধ করে দেয়। ৫০ হাজার টাকার উর্দ্ধের চেক পাশ এবং টিটি-ডিডি প্রেরণের ক্ষেত্রে অধিকাংশ গ্রাহককে পড়তে হয় মহা বিপাকে। অনেক গ্রাহক আছেন যারা চাকুরীর কারণে অন্য থানায় ভোটার হয়েছেন। কিন্তু তাদের স্থায়ী ঠিকানা তেরখাদা। এমন গ্রাহকরা চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট, চেয়ারম্যান মেম্বর কর্তৃক স্থায়ী বাসিন্দার প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে আসলেও ব্যবস্থাপক একাউন্ট খুলতে নারাজ। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ব্যাংকের কর্মচারী মিজানুর রহমান সিকিউরিটি গার্ডদের দিয়ে ফরম পুরণ করিয়ে অভিনব কায়দায় গ্রাহকদের কাছ থেকে ২০০/৩০০ টাকা উৎকোচ নিয়ে অনেকের একাউন্ট খুলে দেন। ব্যাংকের কর্মচারীরা স্থানীয় হওয়ায় তারা অনেক সময় তাদের আত্মীয় স্বজন কিংবা কাছের লোকদের সাথে নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সিরিয়াল মেইনটেইন না করে লেনদেন করে। অনেক সময় ব্যাংকের মধ্যে এ নিয়ে বাক বিতান্ড ও বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ব্যাংকের কর্মকর্তা (যারা কম্পিউটারে কাজ করেন) খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কাজ করেন। ৫ মিনিটের কাজ করতে সময় নিচ্ছে ২০/২৫ মিনিট। যার ফলে গ্রহকদের অযথা সময় ব্যয় করতে হয় এবং ব্যংকে ভীড় পড়ে সাধারণ লোকজনের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান স্থানীয় প্রভাবশালী লোকদের সাথে সখ্যতা গড়ে দাপটের সাথে এ নানাবিধ অনিয়ম পরিচালনা করে আসছে। এ সকল ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার ভুক্তভুগি গ্রাহকগণ। ব্যাংক ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

No comments:
Post a Comment