রাসেল আহমেদ, তেরখাদা : তেরখাদা উপজেলা পারহাজীগ্রামের সুইস গেইট এলাকায় সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে সড়ক সহ প্রায় ১০০ বসতবাড়ি আতাই নদী গর্তে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন ঐ এলাকার শত শত মানুষ। খুলনা-কালিয়া-বড়দিয়া সড়কে ৪ দিন ধরে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঐ এলাকার বাসিন্দা লাজুক মোল্যা, আব্দুস সাত্তার মোল্যা, লিটন মোল্যা, মহাসিন মোল্যা, রকিব শেখ, সেলিম শেখ, ফিরোজ, মরিয়াম বেগম সহ বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, গত ৪ দিন আগে আতাই নদীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পারহাজীগ্রামের ঈদগাহ ময়দানের অদুরে পশ্চিম প্রান্তে ফাটল দেখা দেয়। বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ফাটল দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তারা। ”অনেকে রাত জেগে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বলে তারা জানান। ফাটল স্পটে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সড়ক ধ্বসে আতাই নদীর পানি বিলে প্রবেশ করে তেরখাদা ও কালিয়া উপজেলার কয়েক হাজার একর জমির উঠতি আমন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হবে। যে কোন সময়ে নদী সংলগ্ন বসবাসকারী শতাধিক বসতবাড়ি নদীগর্তে বিলিন হওয়ার আশংকার রয়েছে। খুলনা-কালিয়া বড়দিয়া সড়কে যাতায়াতকারীদের এখন যানবাহন থেকে নেমে জীবনের ঝুকি নিয়ে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পার হয়ে যানবাহন ও অন্যান্য পরিবহনে উঠতে হচ্ছে। বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা মালামাল বহনকারী পরিবহন পার হতে না পারায় চরম সমস্যার দেখা দিচ্ছে। খুলনা সহ বিভিন্ন স্থানে কর্মরত চাকরীজীবীরা যথাসময়ে তাদের গন্তব্যস্থানে পৌছাতে বিড়ম্বনা পোহাচ্ছে। স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদের একই অবস্থা পোহাতে হচ্ছে। ভাঙন কবলিত যায়গাটুকুতে দিন দিন ঝুঁকি বাড়ছে। জনসাধারন জীবন বাজি রেখে পার হচ্ছে। সড়ক ভাঙনের ফলে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ প্রতিদিন সীমাহিন দুর্ভোগের কবলে পড়তে হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ভাঙন এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন, আর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়র জন্য খুলনা জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে। তারা দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
Tuesday, October 16, 2018
তেরখাদার পারহাজীগ্রামে সড়কে ফাটল ধরে আতাই নদীগর্তে বিলিন হওয়ার আশংকা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post Top Ad
Responsive Ads Here

No comments:
Post a Comment