
জেলেদের পরিবার জানান, মঙ্গলবার রাতে পৈলান মোল্যার কান্দি গ্রামের হারুন খান ও মালেক খানের স্পিডবোটে করে কয়েকজন জেলে পদ্মা নদীতে মাছ শিকারে যান।
রাত ১১টার দিকে পূর্ব নাওডোবা এলাকায় পদ্মা নদীতে বোট দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় বোটে থাকা ১৬ জন জেলে পানিতে পড়ে যান। ১৪ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ইলিয়াছ ও খালেক নিখোঁজ হন। তাদের নিখোঁজ থাকার বিষয়ে ইলিয়াছ মোল্যার চাচা মোতাহার মোল্যা জাজিরা থানায় বুধবার একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পালেরচর এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ইলিয়াছের পরিবার ছুটে যান। তারা পুলিশে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ইলিয়াছের বাবা শুকুর মোল্যা বলেন, আমার ছেলে মাছ শিকার করে না। কিন্তু হারুন খান লোভ দেখিয়ে স্পিডবোটে মাছ শিকারের জন্য রাতে ইলিয়াসকে পদ্মায় নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার পরও তাকে খোঁজেনি। ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করার মতো অপরাধ করেছে হারুন। আমি তার বিচার চাই।
জাজিরা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, রাতে মাছ শিকার করার সময় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় দুই জেলে নিখোঁজ হন। বৃহস্পতিবার পদ্মা নদীর চর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একটি জিডি হয়েছে, যদি মামলা হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments:
Post a Comment