নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন, আমাকে আপনারা অভিভাবক বলবেন না। আমি আপনাদের ঘরের সন্তান। সন্তান হয়েই থাকতে চাই। জাতির প্রকৃত অভিভাবকই হলেন শিক্ষকরা। কেননা তারা হলেন জাতি গড়ার কারিগর। তাদের কাছ থেকে মানুষ শিক্ষা নিয়ে দেশের গুরত্বপূর্ণ বড় বড় পদে অধিষ্ট হয় দেশের সেবা করছে। শুক্রবার বেলা ১১ টায় রূপসা কলেজ মিলনায়তনে নৈহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও স্কুল, কলেজ এবং মাদরাসার শিক্ষকদের সাথে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন, রূপসার উন্নয়ন নিয়ে আপনারা ভাববেন না। এলাকার রাস্তা-ঘাট, ড্রেন-কালভার্ট, স্কুল-কলেজসহ যেখানে যে সমস্যা আছে আপনাদের সাথে নিয়ে আমি তার সমাধান করবো। উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত স্বনির্ভর উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে অবিরাম কাজ করে চলেছেন। আমি তার সেই উন্নয়ন কাজের একজন সহযাত্রী হিসেবে কাজ করছি। আমি কোন দল করি এটা বড় কথা না। আপনাদের সেবা করা ইচ্ছা নিয়ে আপনাদের সন্তান হিসেবে এলাকায় ফিরে এসেছি। তাই শুধু নিজ এলাকা নয়, গোটা দেশের উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে আপনারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন।
নৈহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. সুজিত অধিকারী, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দীন বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল মজিদ ফকির, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার আবুল কাশেম ডাবলু, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজুল হক কাজল। বক্তৃতা করেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা আক্তার লিপি, রূপসা কলেজের অধ্যক্ষ ফ ম আব্দুস সালাম, অধ্যাপক শ্যামল দাস, যুবলীগ নেতা সৈয়দ নাসির হোসেন সজল, আবু আহাদ হাফিজ বাবু, প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম পলাশ, বিশ^নাথ ভট্রাচার্য, মো. হায়দার আলী, মো. লুৎফর রহমান, এইচ এম মিজানুর রহমান, মো. অহিদুজ্জামান, রেহানারা খাতুন, মাওলানা শফিউদ্দীন নেছারী, এমদাদুল হক সুমন, মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ প্রমূখ।

No comments:
Post a Comment