ঢাকা অফিস : এসএ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও এসএ ওয়েল রিফাইনারী লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. শাহাবুদ্দিন আলমকে ঋণ জালিয়াতির মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ১৭ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও মামলার ঘটনাটি তদন্তকালে ঘটনার সাথে আসামির জড়িত থাকার যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। মূল রহস্য উদঘাটন, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ও ব্যাংকের অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে কিভাবে ঘটনা ঘটিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রে ব্যাংকের অফিসার হয়ে কে জাল স্বাক্ষর করেছেন, ব্যাংকের তথা সাধারণ জনগণের ৩ হাজার ৬২২ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯ টাকা ঋণের নামে কি উদ্দেশ্যে গ্রহণ করেছিল তা সহ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা আরো উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ খেলাপির তালিকায় এ আসামির নাম প্রকাশিত হয়েছে। এ আসামিসহ প্রতারণার মাধ্যমে উল্লেখিত অর্থ ও তাদের নামীয় সম্পদসমূহ কৌশলে ছেলে-মেয়ে ও আত্মীয়-স্বজনের নামে হস্তান্তর করে কোম্পানি বিলুপ্ত ঘোষণার জন্য হাইকোর্ট ডিভিশনে কোম্পানি ম্যাটার দায়ের করে গাড়ি-বাড়ি বিক্রয় করে বিদেশ পালানোর চেষ্টা করছেন।
তবে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
এর আগে বুধবার ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের চট্টগ্রামের ইপিজেড থানায় ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, এসএ গ্রুপের মো. শাহাবুদ্দিন আলম বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সময়ে বিপুল পরিমাণে ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন। তার মোট ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬২২ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯ টাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের সিডিএ অ্যাভিনিউ শাখা থেকে তার নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৭০৯ কোটি ২৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৯৪০ কোটি ১০ লাখ ৫১ হাজার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩৬ কোটি ১১ লাখ ৪১ হাজার, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৭০১ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার, পূবালী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ২৯৭ কোটি ১১ লাখ ৪৮ হাজার, কৃষি ব্যাংকের ষোলোশহর শাখা থেকে ১৭৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৭ হাজার, অগ্রণী ব্যাংক করপোরেট শাখা থেকে ৫৪৮ কোটি ৪৪ লাখ, জনতা ব্যাংক শেখ মুজিব রোড করপোরেট শাখা থেকে ১১৮ কোটি ২২ লাখ ৭১ হাজার ও প্রাইম ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৫৫ কোটি ২৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি।
মো. শাহাবুদ্দিন আলম ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের নুরুল আমিন লাবলুর কাছ থেকে ১০ কোটি ও মেওয়া ওয়েল অ্যান্ড ফ্যাডস থেকে ২৬ কোটি ৭৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। এসব ঋণ তিনি পরিশোধ করেননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও মামলার ঘটনাটি তদন্তকালে ঘটনার সাথে আসামির জড়িত থাকার যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। মূল রহস্য উদঘাটন, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ও ব্যাংকের অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে কিভাবে ঘটনা ঘটিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রে ব্যাংকের অফিসার হয়ে কে জাল স্বাক্ষর করেছেন, ব্যাংকের তথা সাধারণ জনগণের ৩ হাজার ৬২২ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯ টাকা ঋণের নামে কি উদ্দেশ্যে গ্রহণ করেছিল তা সহ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা আরো উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ খেলাপির তালিকায় এ আসামির নাম প্রকাশিত হয়েছে। এ আসামিসহ প্রতারণার মাধ্যমে উল্লেখিত অর্থ ও তাদের নামীয় সম্পদসমূহ কৌশলে ছেলে-মেয়ে ও আত্মীয়-স্বজনের নামে হস্তান্তর করে কোম্পানি বিলুপ্ত ঘোষণার জন্য হাইকোর্ট ডিভিশনে কোম্পানি ম্যাটার দায়ের করে গাড়ি-বাড়ি বিক্রয় করে বিদেশ পালানোর চেষ্টা করছেন।
তবে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
এর আগে বুধবার ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের চট্টগ্রামের ইপিজেড থানায় ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, এসএ গ্রুপের মো. শাহাবুদ্দিন আলম বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সময়ে বিপুল পরিমাণে ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন। তার মোট ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬২২ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯ টাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের সিডিএ অ্যাভিনিউ শাখা থেকে তার নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৭০৯ কোটি ২৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৯৪০ কোটি ১০ লাখ ৫১ হাজার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩৬ কোটি ১১ লাখ ৪১ হাজার, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৭০১ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার, পূবালী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ২৯৭ কোটি ১১ লাখ ৪৮ হাজার, কৃষি ব্যাংকের ষোলোশহর শাখা থেকে ১৭৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৭ হাজার, অগ্রণী ব্যাংক করপোরেট শাখা থেকে ৫৪৮ কোটি ৪৪ লাখ, জনতা ব্যাংক শেখ মুজিব রোড করপোরেট শাখা থেকে ১১৮ কোটি ২২ লাখ ৭১ হাজার ও প্রাইম ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৫৫ কোটি ২৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি।
মো. শাহাবুদ্দিন আলম ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের নুরুল আমিন লাবলুর কাছ থেকে ১০ কোটি ও মেওয়া ওয়েল অ্যান্ড ফ্যাডস থেকে ২৬ কোটি ৭৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। এসব ঋণ তিনি পরিশোধ করেননি।
No comments:
Post a Comment